এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু অস্বস্তি উড়িয়ে দিতে এবার আসরে নামলেন খোদ অভিষেক! চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক প্রচার শুরু

শুভেন্দু অস্বস্তি উড়িয়ে দিতে এবার আসরে নামলেন খোদ অভিষেক! চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক প্রচার শুরু


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মূলত দলের সঙ্গে তার দূরত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই বলে দাবি করেন একাংশ। বিগত দিনে তিনি লড়াই করে আসলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের শীর্ষ স্তরে জায়গা পাওয়া নিয়ে আপত্তি শুভেন্দু অধিকারীর। তবে সাম্প্রতিককালে সাংগঠনিক বৈঠকে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে একাংশ আশা করলেও, শেষ পর্যন্ত তাকে কোনো দায়িত্বে বসানো হয়নি। এমনকি তিনি যে সমস্ত জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন, সেখান থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আর তারপর থেকেই দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল শুভেন্দুবাবুর। পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় অরাজনৈতিক সভা করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে কার্যত ইঙ্গিত পূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি বলেছিলেন, “প্যারাসুটেও নামিনি। লিফটেও উঠিনি। সিড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠতে হয়েছে।” অর্থাৎ তিনি এই মন্তব্য যে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের কোনো যুবনেতাকে উদ্দেশ্য করেই বলেছেন, তার ব্যাপারে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে এবার শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাকে নিয়ে যখন জল্পনা ক্রমশ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই এই ব্যাপারে মুখ খুললেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে প্যারাসুট এবং লিফট নিয়ে পাল্টা মন্তব্য করে শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দিলেন অভিষেকবাবু বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব আরও ঘনীভূত হল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

সূত্রের খবর, রবিবার সাতগাছিয়ায় একটি সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বক্তব্যের মাঝে শুভেন্দু অধিকারীর করা মন্তব্যের জবাব দেন তিনি। অভিষেকবাবু বলেন, “প্যারাসুটে নামলে নিজের এলাকায় দক্ষিন কলকাতার সাংসদ হতাম। আর লিফটে উঠে 35 টা পদের অধিকারী হতাম।” অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী একগুচ্ছ পদের অধিকারী। দল সবাইকে সবার মত করে সম্মান দিয়েছে।

এক্ষেত্রে প্যারাসুট বা লিফটের কথা বলে শুভেন্দুবাবু যে মন্তব্য করেছেন, তা যে তিনি একেবারেই মানতে নারাজ, তা এদিনের বক্তব্য থেকেই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দিয়ে স্পষ্ট করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এতদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে নীরব ছিলেন। কিন্তু এবার সরাসরি তিনি ময়দানে নেমে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের জবাব দিয়ে সংঘাতকে কি আরও বাড়িয়ে দিলেন! এখন তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ অব্যাহত।

এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ত্যাগ নিয়েও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “মা” হিসেবে উল্লেখ করে কেউ যদি মায়ের সঙ্গে বেইমানি করে, তাকে কি ছেড়ে দেওয়া হবে! এইরকম প্রশ্ন জনতার উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেন তৃণমূলের অলিখিত সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কর্মীদের কাছে জন্মদাত্রী মায়ের মত। রাজনৈতিক জীবনে বড় হওয়ার সুযোগ তিনিই দিয়েছেন। মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা তৃণমূল কর্মীরা সহ্য করবে না। উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা অন্য দলের তাবেদারী করলে তার কড়ায়-গণ্ডায় জবাব দেবেন।”

পাশাপাশি তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে বা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হওয়ার পর কি কি পরিশ্রম করেছেন, তাও এদিনের সভা থেকে ব্যাখ্যা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে এতদিন বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, লড়াই-সংগ্রাম না থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ নেতা হয়ে গেছেন। কিন্তু এই সমস্ত ব্যাপারে এতদিন নীরবতা পালন করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। কিন্তু এদিন ময়দানে নেমে নাম না করে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে “ভাইপো” সম্পর্কে বিরোধীরা নানা মন্তব্য করলেও তার নাম কেন নেওয়া হচ্ছে না! সেই ব্যাপারে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, “নাম নেওয়ার দম আছে কি না, তা ডিসেম্বর মাসেই দেখিয়ে দেব।” অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। শুভেন্দু অধিকারী দল ত্যাগ করবেন কিনা, এখন সেটা বড় প্রশ্ন সকলের কাছে।

কিন্তু তার মাঝেই যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন, তাতে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দলের দূরত্ব যে আরও বৃদ্ধি পাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!