এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু-রাজীব “মীরজাফর”, কিন্তু স্বচ্ছ দীনেশ বিজেপিতে গেলে কি যুক্তি তৃণমূলের?

শুভেন্দু-রাজীব “মীরজাফর”, কিন্তু স্বচ্ছ দীনেশ বিজেপিতে গেলে কি যুক্তি তৃণমূলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন দীনেশ ত্রিবেদী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে চলা দীনেশ ত্রিবেদী যদি বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস কতটা অস্বস্তির মুখে পড়বে, এখন সেটাই নানা মহলে প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই অতীতে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা যখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন তাদের যেভাবে কটাক্ষ করা হয়েছিল, সেই একইভাবে কটাক্ষ করা হচ্ছে দীনেশবাবুকে। ইতিমধ্যেই তাকে “গদ্দার” বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আক্রমণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর এখানেই তৃণমূলের ব্যাপক সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, এর আগে মুকুল রায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, এমনকি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন। আর তারপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার কারণেই সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে এই সমস্ত নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের এই সমস্ত যুক্তি বাংলার মানুষের কাছে কিছুটা হলেও গ্রহণযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরবর্তীতে যে সমস্ত নেতা নেত্রীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের সকলের ক্ষেত্রেই এই যুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল শাসক দল। কিন্তু সেদিক থেকে অনেকটাই ব্যতিক্রম দীনেশ ত্রিবেদী। তার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে কোথাও কোনো প্রশ্ন নেই। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার সাথে সাথে যেভাবে তাকে “গদ্দার” বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস বিপদে পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন একাংশ।

কেননা যারা দল ছাড়বে, তাদের সকলকেই যদি গদ্দার বলা হয়, তাহলে এক্ষেত্রে তৃণমূলের দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে একাংশের মধ্যে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, আসলে তৃণমূল কংগ্রেস এখন চাপে পড়েছে। তাই এতদিন যে সমস্ত নেতারা তাদের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ছিলেন, এখন তারা বিজেপিতে যোগদান করার পরেই সেই সকল নেতারা তাদের কাছে খারাপ হয়ে গেল। তাই ভালো-মন্দ দিক বিচার না করেই তৃণমূলের নেতারা সেই সমস্ত দলবদলকারীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, যথেষ্ট ভদ্র, শিক্ষিত এবং সুবক্তা হিসেবে পরিচিত এই দীনেশ ত্রিবেদী‌। ইতিমধ্যেই তিনি সেরা সাংসদের সম্মান পর্যন্ত পেয়েছেন। রাজ্যসভার মেয়াদকাল এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই যেভাবে তিনি পদত্যাগ করলেন, তা অত্যন্ত নজিরবিহীন। এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তা দীনেশ ত্রিবেদীর ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ব‌্যাতিক্রম হতে পারে। কেননা দীনেশবাবুর সাংসদ পদের মেয়াদ এক বছর পর্যন্ত হয়নি।

ফলে তৃণমূল দলের সমস্ত কিছু খেয়ে দীনেশ ত্রিবেদী এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, এই অভিযোগ কোনমতেই করতে পারবে না। পাশাপাশি দীনেশবাবুর বিরুদ্ধে সেভাবে দুর্নীতির কথা তুলতে পারবে না শাসকদল। তাই তাকে এখন “গদ্দার” বলে চাপে রাখার চেষ্টা করছে ঘাসফুল শিবির। তবে শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্য তৃণমূলের বিরোধীতা নির্বাচনে তাদের বড় সমস্যার মুখে ফেলে দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অতীতের মতই দীনেশ ত্রিবেদীকে এভাবে অন্যান্য নেতাদের পথে হেটে কটাক্ষ করতে শুরু করে ঘাসফুল শিবির, তাহলে পরিস্থিতি এক্ষেত্রে তাদের কাছে বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই দাবি পর্যবেক্ষকদের। সব মিলিয়ে দীনেশ ত্রিবেদী বিজেপিতে যোগ দিলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আক্রমণের মাত্রা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!