শুভেন্দুর সিদ্ধান্তের পরে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬ বিধানসভাতেই কি তৃণমূল কার্যত শূন্য হয়ে গেল? তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য November 28, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী নামটা শুনলে এতদিন বিরোধীদের অনেকেরই হাঁসফাঁস উঠে যেত। যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে, সেখানে সেখানে দায়িত্ব নিয়ে মুশকিল আসানের কাজ করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী গড়ের এই হেভিওয়েট নেতা। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সাম্প্রতিককালে সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার নিজের হাতে থাকা সমস্ত মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর তার পর থেকেই শুভেন্দুবাবুর দলত্যাগের জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তবে সত্যি সত্যিই যদি শুভেন্দু অধিকারী দল ত্যাগ করেন, তাহলে গোটা বাংলা জুড়ে তার যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বাংলার কথা বাদ দিলে যে পূর্ব মেদিনীপুরের সম্রাট বলা হত শুভেন্দু অধিকারীকে, সেই পূর্ব মেদিনীপুর নিয়েই এখন চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের 16 টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নন্দকুমার, নন্দীগ্রাম, মহিষাদল, পশ্চিম পাঁশকুড়া, চন্ডীপুর, ভগবানপুর, এগড়া, খেজুরি, উত্তর এবং দক্ষিণ কাথির মত বিধানসভা। মূলত এই সব কটি বিধানসভাতে শুভেন্দু অধিকারীর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এছাড়াও হলদিয়া, তমলুক এবং পূর্ব পাঁশকুড়ার সিপিএম বিধায়করাও বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী সাথেই রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই নিজের দলের জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরাও এখন শুভেন্দু অধিকারীর সাথে। তাই এহেন শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে এই 16 টি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়করা তার পথ অনুসরণ করতে পারেন। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী বড় কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিলে এখানকার প্রায় সমগ্র তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি বিরোধীদের অনেক কর্মীরাও তার পথ অনুসরন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা যে যাই বলুন না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতাকার তলায় শুভেন্দু অধিকারী লড়াই করলেও, তার একটি ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি এবং আধিপত্য রয়েছে। আর সেই আধিপত্যের জেরেই পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি গোটা বাংলা জুড়ে নিজের মত করে সংগঠন পরিচালনা করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। যেখানে যখন তৃণমূল বিপদে পড়েছে, সেখানে মুশকিল আসান হয়েছিলেন তিনি। মালদহ থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ, কংগ্রেসের ঘাঁটিতে ঘাসফুল ফোটানোর পেছনে শুভেন্দু অধিকারীর ক্যারিশমা নিঃসন্দেহে অনস্বিকার্য। আর এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুরের সম্রাট দলত্যাগ করলে সেখানকার বিধানসভাগুলোর পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে যেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে বলে মনে করছেন একাংশ। যদিও বা তৃণমূলের একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এখনও দলত্যাগ করেননি। তিনি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসেই রয়েছেন। তাই এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে তৃণমূলের অন্দরমহলে ব্যাপক আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সকলেই নজর রাখছেন শুভেন্দু অধিকারীর পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছে, দ্রুত মানভঞ্জন করে শুভেন্দু অধিকারী দলে সক্রিয় হন। কিন্তু তিনি কী করবেন, তা একমাত্র তিনিই জানেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর শুভেন্দু অধিকারী যদি দলে সক্রিয় না হয়ে ভিন দলে যাওয়ার মত কোনো সিদ্ধান্ত নেন বা নতুন টিম গঠন করেন, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে খাতা খোলা বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। একসময় নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি গোটা রাজ্যে নিজের বিস্তৃতি ঘটিয়েছিলেন। দিনকে দিন তার রাজনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি হতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারী দলের জন্য সবকিছু দিয়ে গেলেও, তাকে দলে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ হতে শুরু করেছিল। যার পরবর্তী সময়কালে শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন। সাম্প্রতিক কালে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি দল ত্যাগ করতে পারেন বলে আবার নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তাই এই সমস্ত সমীকরণকে সামনে রেখে শুভেন্দু অধিকারীর আগামী দিনের পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলে। যদি সত্যিই তিনি দলত্যাগ করেন, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূল অস্তিত্ব সংকটে ভুগতে বলেই আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -