এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর অভিযোগের পরেই তৎপরতা কেন্দ্রের, চাপ বাড়ল মমতা-সরকারের, অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির!

শুভেন্দুর অভিযোগের পরেই তৎপরতা কেন্দ্রের, চাপ বাড়ল মমতা-সরকারের, অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারী এখন তার প্রতিপক্ষ। তৃতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দুবাবুকে। আর শুভেন্দু অধিকারী যে রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন, তা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি উদ্যোগের ফলেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল।

আর এবার শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। যেখানে কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনার কথা তুলে ধরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তার ব্যাপারে রাজ্যের কাছে জানতে চাইল কেন্দ্র। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের পরই কেন্দ্রীয় সরকারের তৎপরতা এবং রাজ্যের কাছে জবাবদিহি তলব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে একটি চিঠি পাঠান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। যেখানে রাজ্য সরকার ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনার বিরুদ্ধে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তার ব্যাপারে জানতে চান তিনি। পাশাপাশি আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই ব্যাপারে রাজ্য সরকার যেন তাদের বক্তব্য কেন্দ্রকে জানায়, সেই ব্যাপারেও সেই চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে দুটো জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেল। এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে যে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতীয় জনতা পার্টি, তা কার্যত স্পষ্ট। পাশাপাশি আগামী দিনে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে আরও কোনো অভিযোগ করলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে তার অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হবে, তাও একপ্রকার পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।পর্যবেক্ষকদের মতে, করোনা ভাইরাসের এই সংকটজনক মুহূর্তে ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনা এমনিতেই বিরোধীদের হাতে বাড়তি হাতিয়ার হিসেবে চলে এসেছিল।

তাই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে তৃণমূল সরকারের চাপ বাড়িয়ে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানাতে দেখা যায় বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আর এই বিষয়কে হাতিয়ার করে রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্র যেন পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেই ব্যাপারে তৎপরতা গ্রহণ করেন নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক। আর এবার তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হল। স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্র এই ব্যাপারে সময়সীমা দিয়ে রাজ্যের কাছ থেকে বক্তব্য জানতে চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য কেন্দ্রকে কি জবাব দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!