এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দুর বিষয় আলাদা, আমার বিষয় আলাদা। – মুখ খুললেন রাজীব

শুভেন্দুর বিষয় আলাদা, আমার বিষয় আলাদা। – মুখ খুললেন রাজীব


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যখন দলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল, তখন থেকেই চিন্তা বাড়ছিল তৃণমূলের শীর্ষস্তরে। যদি শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগের মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তাহলে তার পথ ধরে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। আর শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা মাঝেই হঠাৎ করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কিছু মন্তব্য কার্যত শোরগোল ফেলে দেয় বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

যেখানে “স্তাবকতা করলেই নম্বর বাড়ে, দুর্নীতিগ্রস্তদের স্থান প্রথমদিকে।” এমন বেশ কিছু মন্তব্য করতে দেখা যায় রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। অর্থাৎ দলের একাংশের বিরুদ্ধে যে তিনি এই মন্তব্য করেছেন, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সকলের কাছে। আর তারপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করলেন! তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে এবার সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মান ভাঙানোর জন্য উদ্যত হল তৃণমূল নেতৃত্ব। যেখানে প্রশান্ত কিশোর এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে দেখা গেল রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে।

কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তৃণমূলের যে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তা যে তার ক্ষেত্রে হচ্ছে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর বিষয় আলাদা এবং তার বিষয় আলাদা বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ক্ষোভ থাকতেই পারে। তা বলে আমার সঙ্গে কাউকে জড়াবেন না। শুভেন্দুর বিষয় আলাদা। আমার বিষয়ে আলাদা। ক্ষোভ থাকলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটবে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে। আমায় আবার ডাকা হলে আসব।”

একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী কিছুদিন আগে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। উল্টে বৈঠকের পরের দিন সৌগত রায়কে মেসেজ করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। আর তারপর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়তে শুরু করেছে শুভেন্দু অধিকারীর। এখন শুভেন্দুবাবু কি করবেন, তা সকলের নজরে রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই পরিস্থিতিতে তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি শুভেন্দু অধিকারীর মত পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাইছেন তা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তখন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর বাইরে বেরিয়ে এসে তা কার্যত নস্যাৎ করে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকে বলছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একথার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, তার সঙ্গে যদি কাউকে তুলনা করা হয়, তাহলে তা বৃথা।

অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে যেভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে তৃণমূল, তাতে অনেকেই চাপে রয়েছে। কেননা শেষ পর্যন্ত যদি শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ না করেন, তাহলে তার অনুগামীদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কার্যত প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়বে।

তাই এখনই নিজেকে কারও সঙ্গে তুলনা করার কথা বলে কার্যত বিতর্ক থেকে সরে যেতে চাইলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার কারণে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে শুভেন্দু অধিকারীর বিষয়ে আলাদা এবং তার বিষয়ে আলাদা বলে জানিয়ে দিতে দেখা গেল রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!