এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > শুভেন্দু গুরুত্ব পাওয়াতে কি ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষ! বাড়ছে জল্পনা!

শুভেন্দু গুরুত্ব পাওয়াতে কি ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষ! বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত 19 ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন শীর্ষনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর বিজেপিতে নাম লেখানোর পরেই শুভেন্দু অধিকারীকে যে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, তা নানা পদক্ষেপেই প্রমাণিত হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীকে যখন যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তখন কি কিছুটা হলেও দলে কোণঠাসা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ! যদিও বা প্রথম থেকেই দিলীপ ঘোষ তার নেতা এবং তিনি আর দিলীপ ঘোষ একসাথে কাজ করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে মুখে যে যাই বলুন না কেন, বাস্তব চিত্র যে অনেকটাই আলাদা, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

তলায় তলায় শুভেন্দু অধিকারী যথেষ্ট গুরুত্ব পাওয়ার কারণে দিলীপ ঘোষ এবং তার অনুগামীরা যে কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই জল্পনা দীর্ঘায়িত হল! কেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে খবর আসতে শুরু করল! কেননা ইতিমধ্যেই প্রতিটি সভাতেই শুভেন্দু অধিকারী দিলীপ ঘোষের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সেদিক থেকে তাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব রয়েছে, এমনটা ভাবা বৃথা বলেই মনে করছেন অনেকে।

তবে দ্বন্দ্ব যে কিছুটা হলেও তৈরি হয়েছে, তা দিলীপ ঘোষের গোষ্ঠীর অনেক নেতার কথাতেই পরিস্কার। এদিন এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতা বলেন, “আমাদের কেউ চেনে না‌। দিলীপদার পরিচয়ে আমরা পরিচিত। রাজ্য অফিসে গিয়ে মাঝেমধ্যেই শুনতে পাই এমন কথাবার্তা। দিলীপদা নাকি বেশ ক্ষুব্ধ শুভেন্দুকে যেভাবে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটা নিয়ে। যদিও দিলীপদা বিষয়টি নিয়ে কোনোদিন আমাদের সামনে একটি কথাও বলেননি। তবে ভেসে আসা কথা আমরা শুনেছি। আমরা চাই, সবাই একজোট হয়ে লড়াই করে তৃণমূলকে পরাজিত করুক। শুভেন্দু অধিকারীর সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। বিজেপিতে তিনি আসার পর গেরুয়া শিবির চাঙ্গা হয়েছে। মানুষের কাছে বার্তা আরও স্পষ্ট হয়েছে, বিজেপি জিততে চলেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মনে রাখতে হবে, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি 18 টি আসনে জয়লাভ করেছে। তখন কিন্তু দলে শুভেন্দু ছিলেন না। দিলীপবাবুই বিজেপির প্রধান মুখ ছিলেন। এটা অস্বীকার করলে মিথ্যে কথা বলা হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ এই বিজেপি নেতার কথা থেকেই স্পষ্ট যে, শুভেন্দু অধিকারীর যথেষ্ট গুরুত্ব বৃদ্ধিতে তারা কিছুটা হলেও রুষ্ট। তবে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে যদি দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যে সাফল্য পাওয়া কোনোমতেই সম্ভব নয়, তা বুঝতে পেরেছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই এই দুই হাইপ্রোফাইল নেতাকে একসাথে সমস্ত কর্মসূচিতে হাজির করাতে তৎপর হতে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্তরের নেতৃত্বকে। ইতিমধ্যেই একাধিক কর্মসূচিতে একসাথে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীকে এবং ভবিষ্যতেও যাতে তারা একসাথে সমস্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকেন, তার জন্য দেওয়া হয়েছে নির্দেশ বলে খবর।

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূল থেকে এক ঝাঁক নেতা বিজেপিতে যোগদান করার পর পুরনো বনাম নতুনের দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। যার ফলস্বরুপ সেই দ্বন্দ্ব মোকাবিলার চেষ্টা করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর দিলীপ ঘোষের সাথে তার বনিবনা ঠিকমত নাও হতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমস্ত কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষ আর তিনে মিলে অবিভক্ত মেদিনীপুরের সমস্ত আসন বিজেপির হাতে তুলে দেবেন বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

কিন্তু তার পরেও দিলীপ ঘোষের অনুগামীদের গলায় শুভেন্দু অধিকারী যথেষ্ট গুরুত্ব পাওয়ায় দিলীপ ঘোষ ক্ষুব্ধ বলে মন্তব্য সামনে আসতে শুরু করেছিল। আর এই পরিস্থিতিতে জল্পনা যখন বাড়তে শুরু করে, ঠিক তখনই বিজেপির ঐক্যবদ্ধ চেহারা সামনে আনতে রীতিমত চেষ্টা শুরু করে দিল দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর ঠান্ডা লড়াই প্রকাশ্যে আসে, নাকি সূচনাতেই তা মিলিয়ে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!