এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর মত রাজীবের ক্ষেত্রেও কি বিদ্রোহী মনোভাব দেখাবে তৃণমূল! শাসকদলের অবস্থান নিয়ে জল্পনা!

শুভেন্দুর মত রাজীবের ক্ষেত্রেও কি বিদ্রোহী মনোভাব দেখাবে তৃণমূল! শাসকদলের অবস্থান নিয়ে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শেষ পর্যন্ত যদি ঠিকমত রাশ টেনে ধরা যেত, তাহলে হয়ত বা শুভেন্দু অধিকারীকে দলে রাখা সম্ভব হত, এই কথা তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের অনেকেরই মনে বাজতে শুরু করেছে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা কিন্তু সেই তিনি সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে তার সঙ্গে যখন তৃণমূলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল, তখন তৃণমূলের সকল স্তরের কর্মীরা আর্জি জানাতে শুরু করেছিলেন, অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসুন।

তাহলে হয়ত বা সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা সৌগত রায় সেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতে সমাধান হয়নি। উল্টে সমস্যা বেড়েছে। যার ফলস্বরুপ অমিত শাহের সভা থেকে গত 19 ডিসেম্বর বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। আর শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর এবার রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। ইতিমধ্যেই রাজীববাবুর মানভঞ্জনের জন্য তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়েছিল।

কিন্তু তারপরেও যে সমস্যার সমাধান হয়নি, তা রবিবার সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে, শুভেন্দু অধিকারীকে আলোচনায় নিয়ে বসা হলেও যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সক্রিয় ছিলেন না, সেই একই পদ্ধতি কি পালন করা হবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে! যদি একইভাবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার মানভঞ্জনের জন্য সরাসরি আলোচনায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে রাজীববাবুও বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে একাংশের মধ্যে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলে শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় সমস্যা যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার হস্তক্ষেপ করেন, তাহলেই তা অচিরেই মিটে যায়। এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সমস্যার সময় যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলে গোটা ব্যাপারটি মিটিয়ে নিতেন, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে যা হয়েছে, তা ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর পথে হেঁটেই যদি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য করে দলত্যাগেগের মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন এবং তৃণমূল নেতৃত্ব যদি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মান ভাঙানোর জন্য বিন্দুমাত্র পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তাহলে তা যে তৃণমূলের কাছে শাঁখের করাতের মতো হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সেভাবে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। ফলে তিনি যদি বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো অভিযোগ তুলতে পারবে না শাসকদল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের সবচেয়ে স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য মুখ মুখ হিসেবে পরিচিত এই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লেখালে তার অনেক অনুগামী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেদিক থেকে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব যদি এখন থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মান ভাঙানোর জন্য উদ্যত না হয়, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর পথেই পা বাড়াতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট মন্ত্রী বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

তবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মান ভাঙানোর জন্য উদ্যত হলেও লাভের লাভ কিছুই হবে না বলে দাবি করছে বিরোধী দল বিজেপি। তাদের বক্তব্য, তৃণমূলের পিসি ভাইপো রাজ চলছে। নেতা থেকে কর্মী সকলের দম বন্ধ হয়ে আসছে। তাই সকলেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বিজেপিতে যোগদান করার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছেন। এতে মান ভাঙানোর জন্য যিনিই রাস্তায় নামুন না কেন, লাভের লাভ কিছুই হবে না। তবে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অবশ্য এখনও আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন। তাদের দাবি, তৃণমূলে শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাই তিনি যদি আহ্বান জানান, তাহলে সকলেই একত্রিত হয়ে আবার পথে নামতে শুরু করবেন। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে যদি এখন থেকেই বরফ গলানোর চেষ্টা না করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, তাহলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মতই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে পথ চলে তৃনমূল, নাকি সুর নরম করে রাজীববাবুর সঙ্গে আলোচনায় বসে তার মান ভাঙানোর চেষ্টা করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!