এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যকে নির্দেশ আদালতের, চাপ কি বাড়লো মমতার? জেনে নিন!

শুভেন্দুর নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যকে নির্দেশ আদালতের, চাপ কি বাড়লো মমতার? জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রী থাকার সময় জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন তিনি। কিন্তু 2020 সালের শেষদিকে মন্ত্রী পদ এবং বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দুবাবু। তবে মন্ত্রী এবং বিধায়ক পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেওয়ার পরেও তাকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলে তার নিরাপত্তা বহাল রাখে রাজ্য প্রশাসন। পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়।

তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করার পর সেই শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত করে ভারতীয় জনতা পার্টি। বলা বাহুল্য, বিরোধী দলনেতা একজন পূর্ণমর্যাদার মন্ত্রীর মত নিরাপত্তা রক্ষী পান। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাকে কোনো নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া হয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে আদালতে একটি অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেই মতো করেই রাজ্য সরকারের কাছে বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পক্ষ থেকে একটি মুখবন্ধ খামে এই ব্যাপারে নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে দেয় প্রশাসন। অবশেষে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

সূত্রের খবর, আজ কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের সিঙ্গল বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে কেন্দ্রের দেওয়া নিরাপত্তারক্ষী পাচ্ছেন। তবে যদি তার বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়, সেদিক থেকে কেন্দ্র এবং রাজ্য নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আর হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে যে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু অধিকারী, তা বলাই যায়। কেননা নিজের নিরাপত্তার কথা তুলে ধরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেদিক থেকে তার বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে আলোচনার ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

একাংশের মতে, মূলত নির্বাচনের সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচারে যাওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারীর ওপর হামলা হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর পূর্ণমন্ত্রীর সমান তার পদের গুরুত্ব থাকলেও, কেন তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে রাজ্যের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি এই ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যার পরিপ্রেক্ষিতে শোরগোল পড়ে যায়।

অবশেষে এই ব্যাপারে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তার ফলে শুভেন্দু অধিকারীর প্রয়োজন মোতাবেক কেন্দ্র এবং রাজ্যকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাকে যে নিরাপত্তা দিতে হবে, সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়ে গেল বলে দাবি একাংশের। যার ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের চাপ কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!