এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর নিষ্ক্রিয়তার জন্য দায়ী কে? মমতা, অভিষেক নাকি পিকে? তৃণমূলে অস্বস্তি বাড়ছেই!

শুভেন্দুর নিষ্ক্রিয়তার জন্য দায়ী কে? মমতা, অভিষেক নাকি পিকে? তৃণমূলে অস্বস্তি বাড়ছেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৃণমূলের রাজনৈতিক রণনীতিকার করা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে। গত লোকসভা নির্বাচনের পর প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার পরামর্শ মত বিভিন্ন কর্মসূচি করতে দেখা যাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। “দিদিকে বলো” কর্মসূচি থেকে শুরু করে “বাংলার গর্ব মমতার” মত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন সেই প্রশান্ত কিশোর।

কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের এই উদ্যোগ প্রতি জেলার তৃণমূল নেতারা সুচারুভাবে পালন করলেও, তৃণমূলের সাংগঠনিক ব্যক্তি তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে কিন্তু সেই মত এই সমস্ত কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। যার ফলে দলের অন্দরে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। অনেকে বলেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী বিগত বাম আমলে লড়াই আন্দোলন করে এসেছেন। তাই নন্দীগ্রাম তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মাটিতে কিভাবে দলকে সাফল্যের মুখ দেখাতে হবে, তা তিনি খুব ভালো মতই জানেন।

তাই তাকে কারও পরামর্শ নিতে হবে না। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস অসুবিধায় পড়ে, সেখানে সাফল্যের মুখ দেখানো শুভেন্দু অধিকারীর ডানা কিছুদিন আগে থেকেই ছাটতে শুরু করে তৃনমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বিভিন্ন জেলায় পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে সেই পর্যবেক্ষক পদটিকে তুলে দেওয়া হয়। আর এরপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর নিষ্ক্রিয়তা সামনে আসতে শুরু করে। সম্পূর্ণরূপে নীরবতা পালন করতে দেখা যায় রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীকে।

সরকার থেকে শুরু করে দলের কোনো কর্মসূচিতে উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছিল না তাকে। শুধু তাই নয়, মাঝে তার অনুগামীরা তার ছবি এবং নাম দিয়ে পোস্টার করে বিভিন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো চিহ্ন ছিল না। যার ফলে সেই শুভেন্দু অধিকারী দলবদলের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে নানা মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। জানা গেছে, কিছুদিন আগেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে বর্তমানে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি।

আর শুভেন্দু অধিকারী সুস্থ হয়ে ওঠার সাথে সাথেই তার দলীয় কার্যালয়ে আসতে শুরু করেছেন তার অনুগামীরা। আর সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী সকলকে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী 10 অক্টোবরের পর সমস্ত কিছু করা হবে। স্বাভাবিক ভাবেই আগামী দিনে তিনি কি সিদ্ধান্ত নেবেন, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী যদি দলবদলের মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তৃণমূলের পক্ষে তা চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা কমবেশি রাজ্যের প্রতি জেলাতেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা রয়েছে। আর তারা একত্রিত হলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে সাফল্য পাওয়া বড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে যাবে। এমন কোনো সিদ্ধান্ত যদি শুভেন্দু অধিকারী নেন, তাহলে তার জন্য দায়ী কে হবেন, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে নানা মহলে। অনেকে বলছেন, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এর জন্য প্রধান দায়ী। কেননা তারা খুব ভাল করেই জানেন, দলে শুভেন্দু অধিকারীর অবদান কতটা রয়েছে! তার সাংগঠনিক দক্ষতা প্রশ্নাতীত।

যখন যেখানে দল বিপদে পড়েছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে সেখানে দায়িত্ব দিয়েছেন। আর সেই জায়গা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশান্ত কিশোর দলের রননীতিকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর ডানা ছেটেছেন, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক বলে দাবি করছেন একাংশ। তবে অনেকে আবার বলছেন, শুভেন্দু  অধিকারীর  উত্থান আটকাতে  মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়  তাঁর  ভাইপো  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান ঘটিয়েছেন। আর প্রশান্ত কিশোর সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলের রাজনৈতিক রননীতিকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর সুচারুভাবে শুভেন্দু অধিকারীর ডানা ছাটা আরও সহজ হয়ে গেছে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে।

আর তাই যদি শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে চাপে ফেলার মত কোনো পদক্ষেপ নেন, তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে তৃণমূলের একদম শীর্ষ নেতৃত্ব বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে, শুভেন্দু অধিকারী নিজে অবশ্য প্রকাশ্যে জল্পনা বাড়িয়ে বলেছেন – দলে একজনই নেত্রী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি সবাই কর্মী, কারোর জন্যই কিছু আটকে থাকে না! সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!