এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর ছবি দিয়ে একাধিক পোস্টার লালগড়ে! মমতা ছবি না থাকায় বাড়ছে জল্পনা!

শুভেন্দুর ছবি দিয়ে একাধিক পোস্টার লালগড়ে! মমতা ছবি না থাকায় বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী এবং তার ছবিকে কেন্দ্র করে পোস্টার রাজনীতি শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা বাংলায়। তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকের পর শুভেন্দু অধিকারীকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়া হবে বলে আশা করা হলেও তাকে কোনো সেরকম জায়গা দেওয়া হয়নি। যার ফলে দল এবং সরকারের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়াতে দেখা গেছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে। সরকারি মিটিং থেকে শুরু করে দলীয় মিটিংয়ে সেভাবে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি তাকে।

উল্টে তার অনুগামীরা বিভিন্ন জায়গায় তার ছবি দিয়ে পোস্টার নিয়ে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে শুরু করেছেন। যার ফলে জল্পনা বৃদ্ধি পেয়েছে যে, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী নিজের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে এখন রাজনীতি করতে শুরু করবেন? দূরত্ব বাড়াবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে! যদিও বা এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনি।

আর এই অবস্থাতে লালগড়ের রাস্তায় রাস্তায় সেই “শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ” বলে তার ছবি ও লেখা পোস্টার পড়াকে কেন্দ্র করে তীব্র জল্পনা তৈরি হল শাসকদলের অন্দরমহলে। জানা গেছে, রবিবার সকালে শালবনী মন্ডলকুপির কাছে একটি পোস্টার দেখা দিয়েছে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর ছবির নিচে লেখা রয়েছে “শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ।” আর তার নিচে লেখা রয়েছে, “লালগড়, পতাকা বাধা কমিটি, 9 আগস্ট 2010।” আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, পতাকা বাধা কমিটি বলে তো কিছু নেই। তাহলে হঠাৎ করেই লালগড়ের স্মৃতি উস্কে কেন শুভেন্দু অধিকারীর ছবি এবং তার নামে ধ্বনি দিয়ে এই পোস্টার বাধা হল? এর পেছনে কারা রয়েছে?

একাংশ বলছেন, এই মন্ডলকুপিতে 60 নম্বর জাতীয় সড়কের যেখানে এই পোস্টারটি পড়তে দেখা গেছে, সেটা তৃণমূলের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। এখানে দলীয় রণকৌশল ঠিক করতে মাঝেমধ্যেই আসতেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এই রকম একটি জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যখন তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ছে, ঠিক তখনই তার নাম করে এই পোস্টার পড়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হচ্ছে শাসকদলের অন্দরমহলে। অনেকে বলছেন, এই কাজ অন্য কারো নয়। এটা তৃণমূলেরই শুভেন্দুবাবুর অনুগামীরা করেছেন।

অর্থাৎ যে তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির পড়ে সমস্ত নেতা নেত্রীরা থাকেন, সেই শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে লালগড়ের স্মৃতি উস্কে আদতে তৃণমূল নেতৃত্বের দিকেই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হল বলে মনে করছে একাংশ। যার ফলে তৃণমূল কংগ্রেস এখানে ব্যাপকভাবে চাপে পড়লে বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার এবং ছবি পড়াকে কেন্দ্র করে গোটা পরিস্থিতি যে খুব একটা সহজ দিকে এগোচ্ছে না, সেই বিষয়টি বুঝতে বাকি নেই বিশ্লেষকদের কাছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বহু খোঁজখবরের পর জানা গেছে স্থানীয় রাহুল সিংহ রাজপুতরা এই হোডিং লাগিয়েছেন। এদিন রাহুলবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা চাই পুরনো দিনের নেতাকর্মীদের দল যোগ্য সম্মান দিক। শুভেন্দুদাকে দলে সাইড করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা তো আমরা সকলেই বুঝতে পারছি। সেই সময় লালগড়ের সভার জন্য শুভেন্দুদা অনেক পতাকা পাঠিয়েছিলেন। আমরা পতাকাগুলো রাস্তার দু’ধারে বেধেছিলাম। তাই হোর্ডিংয়ে কমিটির নাম রেখেছি।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, গোটা ব্যাপারটিতে এককথায় পরিষ্কার হয়ে গেল যে, শুভেন্দু অধিকারী দলে কিছুটা গুরুত্ব না পাওয়ায় তার অনুগামীরা এখন রীতিমত ক্ষুব্ধ। তাই নিজেদের মতো করে দাদার ছবি এবং পোস্টার দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তারা প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছেন। আর এখানেই জল্পনা তৈরি হচ্ছে, লালগড়ের মত তৃণমূলের শক্তঘাঁটিতে যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর ছবির পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটুকুও নেই, সেখানে শুভেন্দুবাবু কি অন্য কোনো রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা করতে শুরু করেছেন?

অনুগামীদের দিয়ে এই পোস্টার ফেলার পিছনে কি প্রধান কৌশল রয়েছে সেই শুভেন্দু অধিকারীর! এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কি দলকে বার্তা দিতে চাইছেন তিনি? এদিন এই প্রসঙ্গে সালবনি ব্লক তৃণমূল সভাপতি নেপাল সিংহ বলেন, “দলের বৈঠক ছিল। আমি মেদিনীপুরে চলে এসেছি। হোর্ডিংর ব্যাপারে কিছু জানি না।” অন্যদিকে হোর্ডিংয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি থাকতেই পারে। তবে কমিটির নামটা কেমন যেন ঠেকছে, বলে জানান সালবনি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ। এদিকে গোটা বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “হোর্ডিংয়ের এর ব্যাপারে কিছু জানি না।” দলের মধ্যে বিভেদের রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না।” তবে মুখে জেলা তৃণমূলের নেতারা যে কথাই বলুন না কেন, শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার যে তাদের মনে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি করেছে, তা বলাই বাহুল্য। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!