এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর পর দল থেকে ইস্তফা দিতে তৈরি বিধায়ক, তৃণমূলের আকাশে দুর্যোগের কালো মেঘ!

শুভেন্দুর পর দল থেকে ইস্তফা দিতে তৈরি বিধায়ক, তৃণমূলের আকাশে দুর্যোগের কালো মেঘ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পথ দেখিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার কি তার পথেই হাঁটতে শুরু করেছেন তৃণমূলের একের পর এক জনপ্রতিনিধিরা? ইতিমধ্যেই মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা পত্র জমা দিয়ে এসেছেন শুভেন্দুবাবু। খুব দ্রুত তিনি দল পরিবর্তন করতে পারেন বলে মনে করছেন একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে দিয়ে আসানসোলের দলীয় মঞ্চ থেকে তিনি দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিতে তৈরী বলে জানিয়ে দিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল।

যাকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলে একের পর এক জনপ্রতিনিধিদের বিদ্রোহ প্রকাশ্যে আসছে। আর এবার আসানসোলের এই হেভিওয়েট বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসায় নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়ল শাসকদলের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন আসানসোলের গ্রাফাইট কারখানার মেইন গেটের সামনে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আজ সেখানেই উপস্থিত হয়ে বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করতে দেখা যায় জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়ালকে। জিতেন্দ্রবাবু বলেন, “এটাই হয়তো জেলা সভাপতি হিসেবে আমার শেষ বক্তব্য। বিকেলের মধ্যেই যদি জেলা সভাপতির পদ ছাড়তে হয়, তবে আমার দু মিনিট সময় লাগবে না। আমি ছেড়ে দেব।”

এদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি এই মন্তব্য করতে না করতেই বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন বিস্বনাথ পারিয়াল। তিনি বলেন, “দল বললে সন্ধ্যের মধ্যেই আমি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে তৈরি।” পাশাপাশি দলের গঠনতন্ত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় এই তৃণমূল বিধায়ককে। দলের একাংশের বিরুদ্ধে নাম না করে বিশ্বনাথবাবু বলেন, “বেঁধে রাখতে গিয়ে আপনাদের অবস্থা কেমন হয়েছে জানেন! মূর্খ কালিদাসের মত। যে ডালে বসে আছেন, প্রকারান্তরে সেই ডালই কাটার চেষ্টা করছেন। এতে বিশ্বনাথ পারিয়ালের ক্ষতি হচ্ছে কিনা জানি না। কিন্তু আপনাদের সব থেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। দল আছে, আপনারা আছেন। চেয়ারে আছেন। দল কালকে থাকবে না। আপনারাও থাকবেন না। আপনাদের মন্ত্রিত্ব থাকবে না। বিধায়ক পদও থাকবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই একজন বিধায়ক যদি দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এই ধরনের মন্তব্য করতে দুবার না ভাবেন, তাহলে দল কত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, এখন সেটাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। একাংশ বলছেন, শুধু বিশ্বনাথবাবু তো নন। শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর সাথে সাথেই একের পর এক জনপ্রতিনিধিরা দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। যার ফলে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। আর এবার আসানসোলের মাটিতে প্রকাশ্যে জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে দলের এক বিধায়ক সরব হওয়ায় তৃণমূল নেতৃত্ব কিভাবে গোটা পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

একাংশ বলছেন, হঠাৎ করেই এই সমস্ত কিছু হয়ে যাচ্ছে, তা সত্যিই সহজ-সরল ভাবে নেওয়া যাচ্ছে না। কেননা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা। ফলে তিনি যদি দলবদল করেন, তাহলে তার পথ ধরে অনেকেই যে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করবেন, তা প্রথম থেকেই জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল‌। আর এর মাঝেই সেই শুভেন্দু অধিকারী বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর আসানসোলের নেতাদের পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা গুঞ্জনকে ক্রমশ বাড়িয়ে দিল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পদ ছেড়ে দেওয়ার বার্তা দিয়ে এই সমস্ত নেতারা কি দলের সঙ্গে আরও দূরত্ব বাড়িয়ে দেন! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!