এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > স্বাধীনতা দিবসের দিনে ভিন্ন স্লোগান শুভেন্দুর মুখে, চর্চায় রাজনৈতিক মহল!

স্বাধীনতা দিবসের দিনে ভিন্ন স্লোগান শুভেন্দুর মুখে, চর্চায় রাজনৈতিক মহল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বারবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেছে ভারতবর্ষকে। ইতিমধ্যেই পরিষ্কার যে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। কিন্তু ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দিবসের দিন কেন সেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র সম্পর্কে মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, এখন তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। এদিন স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়ে বক্তব্য রাখার সময় হঠাৎ করেই “পাকিস্তান মুর্দাবাদ” বলে বসেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক‌। আর তারপর থেকেই নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, শুভেন্দুবাবু এই ধরনের মন্তব্য করে কি বোঝাতে চাইলেন? একাংশের দাবি, বিজেপির দেশভক্তি নমুনা এবং পাকিস্তানকে যে ছেড়ে দেওয়া হবে না, সেই বিষয়টিই নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

সূত্রের খবর, রবিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কাথির সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে পতাকা উত্তোলন করার পর বক্তব্য রাখেন তিনি। আর সেই বক্তব্য শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভারতমাতা জিন্দাবাদ, ভারত জিন্দাবাদ, পাকিস্তান মুর্দাবাদ।” আর এখানেই একাংশের মধ্যে তৈরি হয়েছে আপত্তি। অনেকে বলছেন, এই দিনটা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দিবস। সেক্ষেত্রে কেন পাকিস্তানকে আক্রমণ করতে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী?

পর্যবেক্ষকদের মতে, বারবার পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলকে আক্রমণ করতে গিয়ে পাকিস্তানকে রসদ যোগাচ্ছে কেউ কেউ বলে মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে “পাকিস্তান মুর্দাবাদ” বলে কি সেই রাষ্ট্রকে আক্রমণ করার পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলকে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে আক্রমণ করার চেষ্টা করলেন বিরোধী দলনেতা? ইতিমধ্যেই এই গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে নানা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নানা প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইয়ের সময় বিজেপি এবং আরএসএসের কি ভূমিকা ছিল, সেটাই সকলে ওনার মুখ থেকে শুনতে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা দিবস সবসময় ইতিবাচক ভাবে পালন করতে হয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে এই ধরনের বক্তব্য সমীচীন নয়। অন্য বিজেপি নেতাদের মত উনিও বিভেদ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই সমস্ত মন্তব্য করছেন।” একইভাবে পাকিস্তান সম্পর্কে এত দূর থেকে মন্তব্য করে শুভেন্দু অধিকারী কি বোঝাতে চাইলেন, তা বোধগম্য হল না বলে জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মানস কর মহাপাত্র।তবে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সিপিএমের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করা হলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি।

এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যতেই সীলমোহর দিতে দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এদিন এই প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “1947 সালের দ্বিজাতি তত্ত্বের উপর নির্ভর করে স্বাধীনতা এসেছিল। সেনা পাকিস্তানকে শত্রু বলেই মনে করে। সেনাবাহিনীর আবেগকেই শুভেন্দু অধিকারী সকলের সামনে তুলে ধরেছেন।” অর্থাৎ যখন শুভেন্দু অধিকারী “পাকিস্তান মুর্দাবাদ” বলে শ্লোগান দিচ্ছেন, তখন তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার সাথে সাথেই তার পাল্টা যুক্তি দিতে দেখা গেল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর স্বাধীনতা দিবসের দিনে এই ধরনের স্লোগান যে যথেষ্ট চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়াল মেদিনীপুরের রাজনীতিতে, সেই বিষয়ে কার্যত একমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!