এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ! খোদ মমতাকে দীর্ঘ পত্র দলীয় কর্মীদের

তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ! খোদ মমতাকে দীর্ঘ পত্র দলীয় কর্মীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের সামনের সারিতে নিয়ে আসতে আর তাই বিভিন্ন জায়গায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা সত্বেও শাসকদলের বিড়ম্বনা কমছে না। এবার আরামবাগের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার বিরুদ্ধে উঠল স্বজনপোষণের অভিযোগ। যেখানে বাংলা ভাষায় একটি চিঠি লিখে তা নবান্নে পাঠিয়ে দিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। স্বভাবতই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। এক তৃনমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে যেভাবে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল, তাতে ব্যাপক চাপে পড়ল শাসক দল।

সূত্রের খবর, আরামবাগের তৃণমূল কর্মীরা একটি তিন পাতা চিঠি লিখেছেন। যেখানে আরামবাগের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাতরার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি একাধিক পদে রয়েছেন। আর সেই পদগুলো সুযোগ নিয়ে গত আট বছর ধরে নিজের কাছের মানুষদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। আর চিঠির দ্বিতীয় পাতায় সেই তৃণমূল বিধায়কের পরিবারের বেশ কিছু সদস্য এবং তার ছেলেকে ব্লক যুব কল্যাণ দপ্তরে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিধায়কের মেজো ছেলেকে আরামবাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে এবং ছোট ছেলেকে বেলঘড়িয়া দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস ডিপোতে কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও আরামবাগ পৌরসভার গ্রুপ-ডি কর্মী পদে তার এক ভাগ্নেকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিধায়ক ঘনিষ্ঠ মোট 22 জন সদস্য বর্তমানে আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বিভিন্ন পদে রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এতদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, এদিন তৃণমূলের কিছু কর্মী যেভাবে সেই বিধায়কের বিরুদ্ধে নবান্নে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে চিঠি পাঠালেন তাতে ব্যাপক চাপে পড়ল শাসকদল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই বিষয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন “তৃনমূলের সব জনপ্রতিনিধি এই ধরনের স্বজনপোষণে যুক্ত। 2021 সালের পর সব হিসেব নিকেশ সামনে আসবে।” তবে আরামবাগের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠলেও, সেই বিষয়ে যুক্তি দিয়েছেন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রতিবেশী উন্নতি কখনই কেউ সহ্য করতে পারে না। এক শ্রেণীর মানুষ যারা আমার মুখোমুখি হতেই ভয় পাচ্ছে, তারা এসব চিঠি লেখালেখি করছে। আমার পরিবারে যারা সরকারি চাকরি পেয়েছে, তারা নিজেদের যোগ্যতায় প্রতিষ্ঠিত। দলের অনেক নেতা-কর্মী আমার কাছে চাকরি চাইতে এসেছিল। কিন্তু তাদের হয়ে অন্যায্য সুপারিশ করি না। তারাই দিদির কাছে চিঠি পাঠিয়ে আমার সম্পর্কে ধারণা খারাপ করতে চাইছে।”

তবে তৃণমূল বিধায়ক মুখে যে কথাই বলুন না কেন, তার বিরুদ্ধে এই চিঠি সরাসরি নবান্নে পৌঁছে যাওয়ায় তিনি যে অনেকটাই চাপে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা শাসক দলকে কতটা চাপে রাখে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!