এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি লিখে ক্ষোভ প্রকাশ তৃণমূল সাংসদের, পক্ষপাতিত্বের কড়া অভিযোগ

স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি লিখে ক্ষোভ প্রকাশ তৃণমূল সাংসদের, পক্ষপাতিত্বের কড়া অভিযোগ


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এখনো পর্যন্ত রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে শাসক শিবিরের দলদাস হিসেবে ব্যাখ্যা করে গেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি যার মধ্যে গেরুয়া শিবির অন্যতম। কিন্তু এবার একইভাবে আক্রমণ চালালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে জোরদার আলোড়ন শুরু হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে তলব করা হয় দিল্লিতে। আর তারপরেই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাপকভাবে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে তিনি চিঠিও লেখেন স্বরাষ্ট্রসচিবকে।

যদিও দিল্লির তলব নাকচ করেছে রাজ্যের দুই শীর্ষ আমলা। তবে জানা গেছে, এ প্রসঙ্গে যাবতীয় যুক্তি দেখিয়ে তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি খবর, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আর সেই চিঠির ছত্রে ছত্রে গেরুয়া শিবিরের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিবকে উল্লেখ করে এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সাংবিধানিক অধিকারের বাইরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

যথারীতি তৃণমূল নেতা সরব হয়েছেন কেন্দ্রের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে এবং সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে তিনি চিঠিতে লিখেছেন, বিজেপি নেতা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের বিরুদ্ধে আইনকে ব্যবহার করছেন। পশ্চিমবঙ্গে জরুরি অবস্থা জারির চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর তাই রীতিমত কড়া ভাষায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রসচিব কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। পাশাপাশি অমিত শাহের চাকরের মত কাজ করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলে বিতর্ক বাড়িয়েছেন কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের এই চিঠি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে জানা গেছে এই চিঠিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জেপি নাড্ডার বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, জেপি নাড্ডা যেহেতু জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান, তাই সেরকমই ব্যবস্থা করা হয়েছিল রাজ্যের তরফ থেকে। জেপি নাড্ডার নিরাপত্তায় 4 অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, 8 জন ডিএসপি, 8 জন ইন্সপেক্টর, 30 জন অফিসার, 40 জন র‍্যাফ, 145 জন কনস্টেবল ও 350 জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিযুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জেপি নাড্ডার কনভয়ে অন্তত 50 টি গাড়ি এবং বাইক ছিল বলে অভিযোগ জানান তৃণমূল সাংসদ।

গতকাল রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজি বীরেন্দ্রকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চিঠি দিয়ে ডেকে পাঠানোর বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন চিঠিতেও সেই ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, আইন-শৃংখলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়। তাই শুধুমাত্র রাজ্যের বিধানসভার কাছেই আমলারা জবাবদিহি করতে দায়বদ্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে এমনিতেই তেতে রয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহল। তার ওপরে কয়েকদিনের ঘটনায় তৃণমূল আর বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে সেই তাত যে আরও বাড়ছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল। তার ওপরে কল্যাণ ব্যানার্জ্জীর চিঠি সেই বিতর্কের আগুনকে আরও উস্কে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!