স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকার পরেও মেনে নি পরিষেবা, প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প বিশেষ খবর রাজ্য July 2, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকার পরেও দেয়া হয়নি চিকিৎসা পরিষেবা। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে টাকা নেই বলে আটকে রাখা হয়েছে রোগীকে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গেলে মারধর করা হয়েছে রোগীর পরিবারকে, এমনই অভিযোগ উঠেছে এক বেসরকারি নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে। যদিও নার্সিংহোমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা থাকার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল রোগীর পরিবারকে। সে সময়ে নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধর করেছেন রোগীর পরিবারের লোকজন। কাঁকসার রাজবাঁধের মা দুর্গা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে। গত ২৫ সে জুন এই নার্সিংহোমে পেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন রিতা চৌধুরী নামে এক মহিলা। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখেই তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে, তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ঠিকমতো চিকিৎসা করা হয়নি তাঁকে। এমনকি, তাঁকে ঠিকমতো খাবার পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটলে, তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর নার্সিংহোম তাঁকে ডিসচার্ড করলেও, তাঁর কার্ডে টাকা নেই, এমন অভিযোগ করে তাঁকে আটকে রাখে নার্সিংহোম। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাঁর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে টাকা না থাকার অজুহাতে ডিসচার্জ করে দেবার পরেও তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। এমনকি নার্সিংহোমের নিরাপত্তা কর্মীরা মারধর করেছে পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ করা হয়েছে, এই ঘটনায় ৭ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তবে, নার্সিংহোমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, টেকনিক্যাল কিছু অসুবিধার জন্য তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধর করেছেন তার পরিবারের লোকেরা। এ ঘটনার বিরুদ্ধে কাঁকসা থানাতে মা দুর্গা নার্সিংহোম ও রিতা চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। উভয় পক্ষেরই অভিযোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ। নার্সিংহোমের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। সমস্ত ঘটনা তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে কোনভাবেই ফেরানো যাবে না বলে, ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও যেভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হলো রোগী ও তার পরিবারকে, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। আপনার মতামত জানান -