এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্বাস্থ্যসাথীর জন্য সাধারণের হামলে পড়া ভিড়ই কি তৃতীয়বারের জন্য মমতাকে ক্ষমতায় এনে দেবে?

স্বাস্থ্যসাথীর জন্য সাধারণের হামলে পড়া ভিড়ই কি তৃতীয়বারের জন্য মমতাকে ক্ষমতায় এনে দেবে?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর জোর কদমে শুরু হয়ে গেছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কাজ। সেখানে গতকাল প্রকল্পের দ্বিতীয় দিনে কেমন হচ্ছে প্রচার? প্রকল্প নিয়ে কি বলছে রাজ্যের মানুষ? এমন হাজারো প্রশ্ন উঠছিল মানুষের মনে। সেখানে পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পে কিন্তু রাজ্যের মানুষ ভালো সাড়া দিয়েছেন।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রথমদিনের তুলনায় বুধবার অর্থাৎ দ্বিতীয়দিন প্রকল্পের শিবিরগুলিতে আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে প্রায় ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭৫০ জন মানুষ শিবিরে যোগাযোগ করেছিলেন। সেইসঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবা চেয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ৭ হাজার ৩৮১টি আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আবেদন রয়েছে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ১৮৭টি।

এছাড়া ‘খাদ্যসাথী’তে ৩২,৪৮৯টি ও একশো দিনের প্রকল্পে ২৪,৮৯৩টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলেই জানা গেছে। প্রথমদিনের মত মঙ্গলবারও আবেদনের সংখ্যার নিরিখে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প শীর্ষে ছিল বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, এরই সঙ্গে উত্তর থেকে দক্ষিণ ছবিটা প্রায় একই রকম ছিল। সেখানে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, দুই দিনাজপুর ও মালদহে মূলত স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড, একশো দিনের কাজের-কার্ড, বার্ধক্যভাতার সমস্যা নিয়ে হাজির হয়েছেন।

সেখানেই নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, দুই মেদিনীপুর থেকে শুরু করে পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একই ছবি লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে, অনেকের মতে, এতদিন যেহেতু ‘স্বাস্থ্যসাথী’ নির্দিষ্ট কিছু অংশের উপভোক্তাদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল, তাই সম্প্রতি সেটা রাজ্যের সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় এর চাহিদা বেড়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, হুগলিতে এদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ শিবিরে যান বলেই জানা গেছে। যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে নাম তুলতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে হাওড়ায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ যোগদান করে, যাদের মধ্যেও অধিকাংশই নাম লেখান ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া বনমালী কলেজে ‘স্বাস্থ্যসাথী’র জন্য আরও চারটি কাউন্টার বাড়ানোর ভাবনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

অন্যদিকে, এই কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে ভিডিয়ো বৈঠক করতে দেখা গেছে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে এই প্রকল্পে আরও বেশি উপভোক্তার আসা নিশ্চিত করতে প্রচারে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। সেইসঙ্গে নথিভুক্ত-কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, স্বাস্থ্যসাথীর কাউন্টারের সংখ্যাবৃদ্ধি, নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া দ্রুত সেরে পরের ক্যাম্পে উপভোক্তাকে সুবিধা দেওয়া নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে।

সেইসঙ্গে শিবিরে বিদ্যুৎ সংযোগ, ফায়ার লাইসেন্সের জন্য পৃথক কাউন্টার রাখা এবং প্রতিদিনের তথ্য নিয়ে রিপোর্ট প্রস্তুতেও জোর দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গেছে। তবে শিবির নিয়ে রাজনীতিরও অভিযোগ উঠেছে। সেখানে বিভিন্ন এলাকায় কোথায়, কখন শিবির হচ্ছে তার প্রচার নেই বলে অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছিল। যদিও এখানে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, এতবছর ক্ষমতায় থাকার পর তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একটা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু নির্বাচনের আগে যেভাবে সমগ্র রাজ্যবাসীর জন্য তিনি ‘স্বাস্থ্যসাথী’ চালু করে দিলেন, তাতে এই জনমোহিনী প্রকল্পের হাত ধরে, আগামী নির্বাচনে তিনি বাজিমাত করতে পারেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জন্য তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রীর হওয়া খুব একটা কষ্টসাধ্য নয় বলেই মনে করছেন অনেকে। যদিও এরই মধ্যে বড় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি। কিন্তু সেই বাধা কাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ‘স্বাস্থ্যসাথী’র মত জনমোহিনী প্রকল্পের হাত ধরে আগামী নির্বাচনে বাজিমাত করতে পারবেন কিনা সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!