স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এবার বড়োসড়ো সুখবর শোনাতে চলেছেন ফিরহাদ হাকিম করো না আবহে, জল্পনা চরমে কলকাতা রাজ্য October 29, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহের প্রথম থেকেই দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথম সারিতে থেকে করোনার বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই চালিয়ে গেছেন। সাধারণ মানুষকে ক্রমাগত পরিষেবা দিয়ে গেছেন তাঁরা। এখনো করোনার ভ্যাকসিন আসার কথা শোনা যায়নি। কিন্তু তার মধ্যেই জানা যাচ্ছে, এবার স্বাস্থ্য ভবন থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য কর্মীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করার কথা বলা হচ্ছে। ভ্যাকসিন এলেই স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে প্রথম সুযোগ পান সেদিকে নজর দেওয়া হবে। অন্যদিকে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রস্তাব দিয়েছেন, এবার স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের সাফাই কর্মীদেরও প্রথমসারির করোনা যোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত করা হোক। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে কলকাতা পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, করোনার চিকিৎসা এবং ভ্যাকসিন এর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার প্রথম পুর স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী কাজও চলছে। কিন্তু একইভাবে পুরসভার সাফাইকর্মীরাও স্বাস্থ্যকর্মীদের মতই সামনের সারিতে থেকে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। তাই তাঁদেরকেও কোভিড যোদ্ধা হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আর্জি জানানো হয়েছে পুরপ্রশাসকের তরফ থেকে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের তালিকা প্রস্তুত করতে ভ্যাকসিনের জন্য। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন পাঠক্রমে যেসব ছাত্রছাত্রীরা যুক্ত আছেন, তাঁদের তালিকাও জানাতে বলা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা ছাড়াও যেসব সরকারি-বেসরকারি, স্থায়ী-অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে করোনাকালে কাজ করে চলেছেন, তাঁদেরকেও এই তালিকায় যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেই তালিকায় এবার সাফাই কর্মীদের ঢোকানোর প্রস্তাব দিলেন ফিরহাদ হাকিম। মূলত কলকাতা পুর এলাকায় কর্মরত স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুরসভা এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ কলকাতা পুরসভার এলাকাতেই সবথেকে বেশি সাফাই কর্মী কাজ করেন। অন্যদিকে, অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, তাহলে কি ভ্যাকসিন ভারতে আসতে চলেছে? না হলে তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য কর্মীদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ কেন নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। তবে ভ্যাকসিনের প্রতি যে মানুষের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এবং করোনা যোদ্ধা হিসেবে ফ্রন্টলাইনে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরাই যে অগ্রাধিকার পাবেন সে ব্যাপারেও নিশ্চিত সবাই। তবে ফিরহাদ হাকিমের প্রস্তাবনা নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন কি প্রতিক্রিয়া দেন বা কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, এখন সে দিকেই নজর সবার। আপনার মতামত জানান -