এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে হেভিওয়েট তৃণমূল বড়সড় ভাঙন ধরালেন বিজেপিতে! শুরু তীব্র বিতর্ক

স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে হেভিওয়েট তৃণমূল বড়সড় ভাঙন ধরালেন বিজেপিতে! শুরু তীব্র বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে একে অপরের দলে ভাঙন ধরাতে ব্যস্ত রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। তবে এবার জোর বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে। করোনা পরিস্থিতিতে লোকজন নিয়ে সভা করে তার মাঝে দলবদল এর অনুষ্ঠান করায় প্রশ্ন উঠল শাসকদলের দিকে। রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে ইতিমধ্যে। তার হাত থেকে বাঁচার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে আবার সাপ্তাহিক লকডাউন ফিরিয়ে এনেছেন।

কোন কোন জায়গায় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে টানা লকডাউন চলছে কয়েকদিন ধরে। এই অবস্থায় প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে কোনো জায়গায় জমায়েত না করার জন্য। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে এবার খোদ তৃণমূলের তরফ থেকে সভা করা হলো। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সমালোচনা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম এর রামনগর অঞ্চলে কুড়াল পল্লীশ্রী এলাকায় একটি সভা করে তৃণমূল। দাবি করা হচ্ছে, সেই সভাতে এলাকার 36 টি পরিবার বিজেপি থেকে এসে যোগ দিলেন তৃণমূলে।

জানা গেছে, এই সভাতে উপস্থিত ছিলেন আউসগ্রাম এর বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার। এছাড়া ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষ সহ ব্লক ও অঞ্চলের অন্যান্য নেতারা। ইতিমধ্যে তৃণমূলের এই সভা ঘিরে অভিযোগ উঠেছে করোনা নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করার। অভিযোগ উঠেছে শতাধিক লোক কিভাবে জমায়েত করল এই সভায় যেখানে জমায়েত করার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেকের মুখেই মাস্ক ছিলনা।

অন্যদিকে বিরোধীদের পক্ষ থেকেও এই সভার বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির আউসগ্রাম বিধানসভার পর্যবেক্ষক শ্যামল রায় জানিয়েছেন, প্রশাসনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যেভাবে বিধায়ক সহ শাসক দলের নেতারা নির্দেশ অমান্য করে সভা করলেন, তা চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। অন্যদিকে তিনি করোনা নিয়ে আতংক প্রকাশ করে বলেন, এত বড় জমায়েত থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য আলমগীর মন্ডল পাল্টা অভিযোগ করেছেন, দলের মুখ্যমন্ত্রী যখন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন সেখানে তাঁর দলের লোকেরাই এই নিষেধ মানছেন না। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির থেকে জানানো হয়েছে, তৃণমূল সভা করলেও যে দাবি করছে দলবদলের তা সর্বৈব ভুল। কারণ বিজেপির তরফ থেকে কেউ দলবদল করেনি বলে জানানো হয়েছে। যদিও করোনা নিষেধাজ্ঞা না-মানার অভিযোগ কিছুটা যে সত্যি তা মেনে নিয়েছেন এলাকার বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার।

সেক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন, জায়গার অপ্রতুলতার কারণে দূরত্ব বজায় রাখা যায়নি। তবে উপস্থিত সবার মুখেই মাস্ক ছিল। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর হবেনা বলেও তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে বর্ধমানের মহকুমা শাসক পুষ্পেন্দু সরকার জানিয়েছেন, জমায়েত করতে গেলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থানীয় স্তরে অনুমতি নিয়ে করা নিয়ম। সে ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়েছে কিনা তা এবার দেখা হবে। অন্যদিকে এই সভা ঘিরে রাজনৈতিক মহলের সমালোচনা হলেও এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের উপর মহল থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে রাজ্যজুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। সেক্ষেত্রে যদি নিষেধাজ্ঞা না মানা হয় তাহলে কিন্তু নিজেদের বিপদ বাড়বে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, শুধুমাত্র দলবদল এর মতন রাজনৈতিক কারণকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে করোনা নিষেধাজ্ঞা না-মানার মতন গুরুতর অপরাধ কে কি লঘু করে দেখা হচ্ছে রাজ্যের শাসক মহল থেকে? আপাতত করোনা বিধি না মানার জন্য শাস্তির কথা বলাই আছে প্রশাসনের তরফ থেকে। অতএব বিধিভঙ্গের জন্য শাসকদলের লোকজন শাস্তির মুখোমুখি হন কিনা, সে দিকেই এখন নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!