স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুত্ পরিষেবা। ধুঁকছে ইন্টারনেট পরিষেবাও, এবার মাঠে নামলেন মমতা কলকাতা রাজ্য June 3, 2020 রাজ্যের করোনা আতঙ্ক এখনো বর্তমান। এর মাঝেই পাক্কা দু সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে বেজায় জটিল। ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে গোটা রাজ্য রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। যেভাবে ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব দেখিয়ে গেছে, তার চিহ্ন এখনো বয়ে নিয়ে চলেছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট পরিষেবা সমস্ত কিছু বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এখনো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। আর এই নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। দুই সপ্তাহ পরেও এখনো শহরের বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। এমনকি ইন্টারনেট পরিষেবাও তথৈবচ। ইন্টারনেটের জন্য যেরকম মুখ্যমন্ত্রী দুটি টেলিকম সংস্থাকে তুলোধোনা করেছেন এদিন সেরকমই কলকাতার বিদ্যুৎ পরিষেবা সংস্থা সিইএসসিকেও ছাড়েননি। গত 20 শে মে কলকাতাসহ হাওড়া, হুগলি, দুই 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আমফান রীতিমতো ধ্বংসলীলা চালিয়ে গেছে। এর ফলে বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছেন বলে জানা গেছে। মৃত্যু হয়েছে 87 জনের। এরপরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রীতিমতন কোমর বেঁধে নেমে পড়ে রাজ্য প্রশাসন। কলকাতার বুকে শয়ে শয়ে গাছ পড়ে যায় ঝড়ের ফলে। সেই গাছ কাটতে দেখা যায় সেনাকেও। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোজা উড়ে আসেন একদিনের মধ্যে রাজ্যে। এবং এখানে এসেই তিনি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই অর্থ পৌঁছেছে বাংলার বুকে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সেই অর্থ বিভিন্ন খাতে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আমফান বিপর্যস্তদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে গেছে। সরকারি সংস্থাগুলি যেভাবে কাজ করছে, সেদিকে নজর রেখে বেসরকারি সংস্থাগুলির কাজে মুখ্যমন্ত্রী যে মোটেই খুশি নন তা তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার। তাঁর মতে, বেসরকারি সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যেভাবে টাকা নেয়, সেভাবে পরিষেবা দিতে পারছে না। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে। অন্যদিকে শহরে এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি বলে মুখ্যমন্ত্রী সিইএসসিকে পরামর্শ দিলেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ নিয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি তৈরির জন্য। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাহত হবার জন্য রীতিমতন হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। লকডাউন এর কারণে অনেককেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হচ্ছে। কিন্তু পরিষেবা সঠিকভাবে না পাওয়ার জন্য তাঁদেরও কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত বাংলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলে বিরোধীরাও শাসক দলকে বিভিন্নভাবে বিঁধতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাই এবার কোন উপায়ন্তর না দেখে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেলিকম সংস্থাগুলিকে এবং বিদ্যুৎ সংস্থাকে দোষারোপ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনার মতামত জানান -