এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শ্যামাপ্রসাদ “অরুচি” রাজ্য বিধানসভায়! মহামনীষী পেলেন না সম্মান! বিজেপির দেখাও মিললো না , জল্পনা চরমে

শ্যামাপ্রসাদ “অরুচি” রাজ্য বিধানসভায়! মহামনীষী পেলেন না সম্মান! বিজেপির দেখাও মিললো না , জল্পনা চরমে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিভিন্ন মনীষীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ রয়েছে। কিন্তু তার কারণেই তাদের কর্মজীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের জন্মদিবসে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হবে না, এমনটা বাংলার সংস্কৃতি শেখায় না। সোমবার ছিল হিন্দু মহাসভার অন্যতম পথিকৃৎ তথা ভারতীয় জনসংখ্যার প্রতিষ্ঠাতা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের 120 তম জন্মদিবস। স্বাভাবিকভাবেই করোনা ভাইরাসের কারণে বিধানসভার অধিবেশন না চললেও অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস পালনের জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ফলে অনেকেই আশা করেছিলেন, রাজনৈতিক বৈরিতাকে দূরে সরিয়ে রেখে তৃণমূল, বাম কংগ্রেস সকলেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। আর বিজেপি যে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল সকলে।

কিন্তু অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর আয়োজন করলেও, এই মহা মনিষী সঠিকভাবে সম্মান পেলেন না। প্রায় কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষেই তাকে সেভাবে সম্মান জানানো হল না। যা নিয়ে রীতিমত সমালোচনা ও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাংলার রাজনৈতিক অলিন্দে। জানা গেছে, বাম এবং কংগ্রেসের তরফে আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। কারণ তাদের কিছু রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। এদিন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বিধানসভায় না আসলেও, রাজ্যের কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান অনুষ্ঠানের বেশ কিছুক্ষণ পর তার অফিসে আসেন।

কেন তারা মনীষী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবসে তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন না? এদিন সুজন চক্রবর্তী ও আব্দুল মান্নান বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা ভাগের ঘৃণ্য নীতি বাস্তবায়িত করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। স্বাধীনতা সংগ্রামে তার কোনো অবদানের কথা কেউ শোনেনি। এমন মানুষকে মন থেকে শ্রদ্ধা জানানোর প্রশ্নই ওঠে না।” এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তেমনভাবে কেউ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো কিছু না বললেও, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কেউ মহা মনীষীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করেননি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে কেন কেউ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন না?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা বলেন, “আমরা যারা উত্তরবঙ্গে থাকি, আমাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তবে আমি তৃণমূল থেকে আমাদের দলে আসা বিধায়ক দুলাল বরকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি কেন যেতে পারলেন না, তা খোঁজ করে দেখতে হবে।” তবে দলের তরফে পরিষদীয় নেতা তাকে দায়িত্ব নিলেও, তিনি কেন বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে সম্মান জানালেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে দুলাল বর বলেন, “আমায় এদিন যখন এই বার্তা দেওয়া হয়, তখন বিধানসভায় পৌছানোর সময় ছিল না। তাছাড়া আমি এদিন বহু শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। তাই নতুন করে শ্রদ্ধা জানানোর কিছু ছিল না।”

তবে দুলালবাবু যে কথাই বলুন না কেন, বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন, রাজনৈতিক বৈরিতাকে সরিয়ে রেখে বাংলায় বিশিষ্ট এই মনীষীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে প্রতিটি রাজনৈতিক দল, এটা কাম্য ছিল। সেক্ষেত্রে প্রায় কোনো রাজনৈতিক দলই সেভাবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস বিধানসভায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করে বাংলার কৃষ্টি এবং সংস্কৃতিকে বড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন বলে দাবি করছে সমালোচক মহল। তবে শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারণে যদি এভাবে মনীষীদের প্রতি সম্মান জানানোর প্রক্রিয়া থেকে ব্রাত্য থাকেন রাজনীতির কারবারিরা, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি শিখবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় প্রশ্নচিহ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!