এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > তফসিলি জাতি এবং আদিবাসীদের প্রতি রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সরব বিরোধীরা

তফসিলি জাতি এবং আদিবাসীদের প্রতি রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সরব বিরোধীরা


রাজ্যে তফসিলি জাতি এবং আদিবাসীদের দিকে কোনো নজর নেই রাজ্যসরকারের, এমনটাই অভিযোগ তুললেন সিপিএমের টিকিটে জিতে আসা একজন আদিবাসী,খগেন মুর্মু। সম্প্রতি ঝাড়গ্রামেড লালগড়ের পূর্ণপানি গ্রামে অপুষ্টি এবং রোগভোগের কারণে শবর সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজনের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

স্বাভাবিকভাবেই, তাঁদের এভাবে মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। বিজেপি,বাম এবং কংগ্রেস দফায় দফায় প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গ্রাম ঘুরে দেখতে। তারপরই রাজ্যসরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় তাঁরা।

অভিযোগ, খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানীয় জল, ১০০ দিনের কাজ সহ সরকারি সমস্ত প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা থেকে শবরদের বঞ্চিত রেখেছে প্রশাসন। যার ভয়ানক পরিনতি সামান্য সময়ের ফারাকে অপুষ্টি এবং রোগাক্রান্ত হয়ে এতোগুলো মানুষের মৃত্যু। বিরোধীদের শোরগোল প্রশাসনের কানে গিয়ে পৌছালে নড়েচড়ে বসে তাঁরা। তারপরই স্থানীয় বিধায়ক ঘটনার ছ’দিন পরে এলাকায় যান খাবার নিয়ে।

এই প্রেক্ষিতে বিধবাভাতা সংক্রান্ত একটি তথ্য সামনে আনেন সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। খগেন বাবুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানিয়েছে,চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের নিরিখে রাজ্যে মোট ৪৯ হাজার ৬৮৭ জন মহিলা বিধবা ভাতা পান। তাঁদের মধ্যে ১,৪১০ জন তফসিলি জাতি এবং ৩৬৪ জন উপজাতি মহিলা রয়েছে। এই তথ্যের মাধ্যমে মন্ত্রী রাজ্যের আদিবাসী এবং তফসিলি সম্প্রদায়ের বাস্তব অবস্থা স্পষ্ট ভাবে সামনে আনলেন।

আদিবাসীদের মৃত্যু জন্য বিরোধীরা রাজ্যসরকারকে দায়ী করলেও,এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যসরকারের বক্তব্য,অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এছাড়া বাকিরা রোগাক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।

তাছাড়া প্রশাসন তো মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেছে। তাঁদের জন্যে নিয়মিত রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বহুদিন বাদে ভালো খাবার খেয়ে রীতিমতো খুশি শবর গ্রামের বাসিন্দারা। তবে শবরদের মৃত্যুর পর প্রশাসনের তৎপরতাকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। নিজেদের দোষ ঢাকতেই এখন শবরদের ব্যাপারে সচেতন হয়েছে প্রশাসন। এলাকার বিধায়ক কীভাবে মৃত্যুর ঘটনার ছ’দিন পর দলীয় বাহিনী নিয়ে খাবার দিতে গেলেন?

এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে! বিষ্ময় বিরোধীদের। বাম-কংগ্রেস পরিষদীয় দলের তরফ থেকে একটি রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী সহ একাধিক বাম ও কংগ্রেস বিধায়ক দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব এনেছিলেন। এবিষয়ে দপ্তরের মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বিবৃতি দিতে পারেন বলে, এদিন আলোচনা হয়নি। তবে বিরোধীদের আজ ফের এনিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব জমা দেওয়ার কথা রয়েছে,এমনটাই জানা গিয়েছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে,প্রশাসন যদি এবার এই ইস্যুতে তাৎপর্যমূলক পদক্ষেপ না নেয়,তাহলে বিরোধীদের চাঁচাছোলা আক্রমণের শিকার হতো হবে তাঁদের। তাছাড়া আদিবাসীদের ভোটব্যাঙ্কও তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই ইস্যুকে সামনে রেখে বিরোধীরা যে আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোকে নিজেদের দিকে টানতে চেষ্টা করবে,এমনটাই সংশয় ওয়াকিবহাল মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!