এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > টাকা দেয় না কেন্দ্র: মিত্র, হিসাব দেয় না রাজ্য: শাহ – কোন অমিতের দাবি সঠিক? বাড়ছে ধন্দ!

টাকা দেয় না কেন্দ্র: মিত্র, হিসাব দেয় না রাজ্য: শাহ – কোন অমিতের দাবি সঠিক? বাড়ছে ধন্দ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় উভয়ের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অভিযোগ তোলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। যেমন – রাজ্যের অভিযোগ, কেন্দ্র রাজ্যকে সবসময় বঞ্চিত করে সব বিষয়ে। অন্যদিকে কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্যের অভিযোগ অমূলক। রাজ্যকে সাহায্য করা হয় কিন্তু রাজ্যকে কোন টাকা পয়সা দিলে তার হিসাব আর পাওয়া যায়না। রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা দেওয়া নিয়ে বহুবার মুখ খুলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, রাজ্য কেন্দ্রের কাছে যে পাওনা টাকা পায় সেটাও কেন্দ্র দেয় না।

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা 53 হাজার কোটি টাকা। কিন্তু রাজ্যকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। যদিও রাজ্যের বঞ্চনার অভিযোগের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অমিত শাহ জানান, গত পাঁচ বছরে বাংলার জন্য কেন্দ্র থেকে চার লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার কোন হিসাব দেয়নি রাজ্য। অন্যদিকে প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাজেটে কেন্দ্রীয় অনুদান হিসেবে যে টাকা ধরা হয় তার 25 ভাগ টাকা বছরের শেষে আসেনা। এবং সেটার কারণ বছরের শুরুতে প্রথম কিস্তির টাকা খরচ করতে না পারা।

এ প্রসঙ্গে নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা জানান, বর্তমানে কেন্দ্রের দেওয়া পাওনা টাকা এবং তার পরিমাণ কিছুটা হলেও বেড়েছে। কারণ কেন্দ্র এখন বহু প্রকল্পে সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দেয়। কিছু প্রকল্পের টাকা সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা জেলাশাসকদের দেওয়া হয়। এর ফলে আগের মতন টাকা বিভাজন করতে আর দেরি হয়না। বরং এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় অনুদানের ওপর রাজ্যের কিছু বলার নেই। বরং ‘ম্যাচিং গ্রান্ট’ যদি না দিতে পারা যায়, তাহলে অর্থ দপ্তরকেই তখন সুদ দিতে হয়। না হলে পরের বছরে টাকা কেটে নেয় দিল্লি।

সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে 23 টি কেন্দ্রীয় প্রকল্প চলছে দেশজুড়ে। তার মধ্যে ছটি প্রকল্পের গুরুত্ব ও উপভোক্তার সংখ্যা সব থেকে বেশি। এই প্রকল্পগুলি হল- ১০০ দিনের কাজ, জাতীয় পরিবার সহায়তা (মূলত পেনশন প্রকল্প), তফসিলি জাতিদের জন্য অর্থ ও উন্নয়ন প্রকল্প, জনজাতিদের জন্য প্রকল্প, সংখ্যালঘুদের অর্থ প্রদান ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য প্রকল্প। এই সমস্ত প্রকল্পের খরচ চালায় বর্তমানে কেন্দ্র। প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করে রাজ্য কিন্তু কেন্দ্রীয় টাকা দিতে রাজ্যের কোন ভূমিকা থাকছেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আরও জানা যাচ্ছে বিধ্বংসী আইলার পর বাঁধ দেওয়ার জন্য রাজ্যকে 5 হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু 180 কিলোমিটার বাঁধ দেওয়ার জন্য 2011 সালে 1339 কোটি টাকা দেওয়া হয় রাজ্যকে। কিন্তু সেই টাকা খরচ করতে না পারার দরুণ পরের কিস্তির টাকা আর পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে। যদিও এ প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে জানান, বাংলার প্রতি সবসময় কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করে। কলকাতার মেট্রো প্রকল্প গুলিও রেল মন্ত্রক এখনো শেষ করতে পারেনি বলে জানান তিনি।

আসল কথা কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার উন্নতি চায় না বলে সেচমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, আরও 45 টি পরিকাঠামো ভিত্তিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প আছে। যেগুলি হলো- সেচ বাঁধ, বিদ্যুৎ পরিকাঠামো নির্মাণ, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহণ পরিকাঠামো, ই-প্রশাসন, খেলাধুলো-সংস্কৃতি বিকাশ ইত্যাদি। এই সমস্ত প্রকল্পের টাকা পাঠানোর পর টাকা খরচ হলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে টাকা পাওনা নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের বিরোধ বহু পুরনো।

তবে এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, রাজ্যের মানুষদের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের যে টাকাই পাওয়া যাক না কেন তা সম্পূর্ণভাবে খরচ করতে হবে। যদিও বিরোধীদের দাবি, শাসকদল টাকার হিসাব দিতে পারেনা, তার একটাই কারণ পুরোটাই দুর্নীতি চক্রের হাতে চলে যায়। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই কেন্দ্র রাজ্যের সংঘাত আরো চরম আকার ধারণ করবে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজ্য সরকারের অন্দরে যদি কোনো দুর্নীতি চলে আর্থিকভাবে, তাহলে তা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!