এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > টানা দুদিন লকডাউনে মাথায় হাত! পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া নিয়েই চরম সমস্যায় নীট পরীক্ষার্থীরা!

টানা দুদিন লকডাউনে মাথায় হাত! পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া নিয়েই চরম সমস্যায় নীট পরীক্ষার্থীরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর রবিবার রয়েছে সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা বা নিট ইউজি পরীক্ষা। কিন্তু এই পরীক্ষার ঠিক দুদিন আগেই আগামী শুক্র ও শনিবার রাজ্যজুড়ে করোনার সংক্রমণ রোধে কড়া লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তই মাথায় হাত পড়েছে সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের।

সম্প্রতি করোনা সংক্রমনের কারণে রাজ্যজুড়ে পরিবহন ব্যবস্থা ঢিলেঢালা থাকায় সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং বা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে রীতিমতো চোখে সর্ষেফুল দেখতে হয়েছিল বহু পরীক্ষার্থীকে। দূরদূরান্ত থেকে পরীক্ষা দিতে যাওয়া বহু ছাত্রছাত্রীকে পরীক্ষার সঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য ভোরবেলায় রওনা দিতে হয়েছিল। অনেকে আবার পরীক্ষার একদিন-দুদিন আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রের নিকটবর্তী কোন বন্ধু বা আত্মীয়ের বাড়িতে বা হোটেলে উঠেছিলেন।

কিন্তু এবার সমস্যা আরো গুরুতর। আরো বেশি দুশ্চিন্তাদায়ক।কারণ পরীক্ষার আগের দিন রাজ্যব্যাপী কড়া লকডাউন জারি থাকায়, তখন কোনভাবেই তারা পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছাকাছি কোন আত্মীয়, বন্ধুর বাড়িতে, বা হোটেলে গিয়ে উঠতে পারবেন না। এর ফলে পরীক্ষার দিন খুব ভোরে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়তে হবে। সেই সঙ্গে গাড়ি ভাড়া যা লাগবে তাতে ‘ ভারে মা ভবানী’ অবস্থা হবে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের বেশ কিছু ধর্মীয় উৎসবের কারণে ইতিপূর্বে রাজ্য সরকার বেশ কয়েকবার লকডাউন এর তারিখ পরিবর্তন করেছিল। কিন্তু এবার সর্বভারতীয় পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ঠিক আগে পর পর দু দিন লকডাউন এর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেনি রাজ্য সরকার। তাই সে বিষয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও বেশ কিছু মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরীক্ষার দুদিন আগে রাজ্য সরকারের জারি করা কড়া লকডাউন এর ফলে পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ে তারা কিভাবে পৌঁছাবেন সেই চিন্তাতেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে পরীক্ষার্থীরা। বিশেষ করে কলকাতার আশেপাশের জেলার বহু ছাত্রছাত্রীর সিট পড়েছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ-এর একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার অফিসে। এমনই এক পরীক্ষার্থী জানিয়েছেন বেলা ২ টায় পরীক্ষা শুরু হবে, কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্টিং টাইম ১২ তা ২০ মিনিট। তিনি ভেবেছিলেন গাড়ি ভাড়া করে পরীক্ষা দিতে যাবেন।

কিন্তু সেভাবে কোন গাড়ি পাননি, যেসব গাড়ির ড্রাইভার যেতে রাজি তারা আবার অসম্ভব রকমের ভাড়া হাঁকছেন। এ কারণে গাড়ি ভাড়া না করে সে দিন ভোর পাঁচটায় তার বাবার সঙ্গে মোটর বাইকে করে বেরোবেন তিনি। নিকটবর্তী সুবিধাজনক জায়গায় বাইক রেখে বাকি পথ বাসে চেপে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পরিকল্পনা। পরীক্ষা শেষ করে তাঁদের বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত ১১ টা হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। এ প্রসঙ্গে তার খেদোক্তি, রাজ্যে যদি ঠিকঠাক বাসের ব্যবস্থা থাকত তাহলে হয়তো এতটা কষ্ট করতে হত না তাদেরকে।

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের পরীক্ষার্থীদের অনেকেরই আসন পড়েছে শিলিগুড়িতে একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে। ফলে পরীক্ষা দিতে অনেককেই ২০০ কিলোমিটার দূরে পারি দিতে হবে। ফলে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় তাঁরা। এতদূরে যেতে চার-পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগে যাবে, আর তার জন্য গাড়িভাড়াও আকাশ ছোঁয়া। হয়ত শেয়ারে গেলে কিছুটা সুরাহা হত – কিন্তু করোনা আবহে সেই পথও বন্ধ।

এসময়ে কোন আত্মীয়, বন্ধুর বাড়ি বা কোন হোটেলে ওঠাও সহজ নয়। আবার পরীক্ষা শেষ করে গাড়ি করে বাড়ি পৌঁছাতে মধ্যরাত পেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা! ফলে, অনেক কুণ্ঠা নিয়েই অনেকে বন্ধু বা আত্মীয়ের বাড়িতে রাতের আশ্রয় ভিক্ষা করছেন! আর এইসব উৎকন্ঠার মাঝে মূল পরীক্ষা কেমন হবে তাই নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে দুশ্চিন্তা। সঙ্গে যোগ হয়েছে আগের দুদিনের লকডাউন – সবমিলিয়ে নীট পরীক্ষার আগে, পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো আর ফেরা নিয়েই ঘুম উড়েছে অভিভাবক থেকে ছাত্রছাত্রীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!