তাপস পালের মৃত্যু নিয়ে তরজা চরমে, মমতাকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেললেন বিরোধীরা! কলকাতা রাজ্য February 20, 2020 মৃত্যুকালেও বিতর্ক পিছু ছাড়ল না প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট অভিনেতা তাপস পালের। দীর্ঘদিন ধরে শ্রীঘরে ছিলেন তিনি। মানসিক অবসাদে ভুগতে ভুগতে অবশেষে গত মঙ্গলবার ভোরে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তাপস পাল। আর তার মৃত্যুর পরই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, বিজেপির প্রতিহিংসাপরায়ণ নীতির জন্যই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বিশিষ্ট এই অভিনেতা। অন্যদিকে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাপস পাল তৃনমূলে থাকলেও, তিনি যখন জেলে ছিলেন তখন থেকেই তৃণমূল তার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাপস পালের সাথেই জেলে থাকা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভুবনেশ্বরে দেখা করতে গেলেও, তাপস পালের সঙ্গে দেখা করেননি। আর তাতেই রীতিমতো মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয় প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের। যা তাকে ধীরে ধীরে অবসাদের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। আর তার ফলেই তার এই মৃত্যু বলে দাবি একাংশের। গতকাল রবীন্দ্রসদনে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট এই অভিনেতার শায়িত মৃতদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাপস পালের প্রতি এরুপ মনোভাব প্রকাশ করছেন, তখন অতীতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলে দেখতে গেলেও, কেন তিনি তাপস পালের সঙ্গে দেখা করেননি! কিন্তু বিরোধীদের এই অভিযোগ কতটা সত্যি! সত্যিই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুবনেশ্বরে গিয়ে শুধু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন! তাপস পালের সঙ্গে কি দেখা করার বিন্দুমাত্র সময় হয়নি তার! তবে বিরোধীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যখন এই সমস্ত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই সামনে এল প্রকৃত তথ্য। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেদিনের হাসপাতাল সফরের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় পাশাপাশি তাপস পালের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন এই তৃণমূল সাংসদের আইনজীবীর ব্যবস্থা সহ হাসপাতালের বিল মেটানোর সমস্ত দায়িত্বই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন বলে খবর।জানা যায়, গত 2017 সালের 18 এপ্রিল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর থেকে বেরিয়ে তাপস পালের কেবিনে গিয়ে সেখানে তার সঙ্গে সাত মিনিট সাথে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শক্ত হয়ে, মাথা উঁচু করে লড়াই করার জন্য তাপস পালকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসপাতাল সফরের রিপোর্টে যখন তিনি তাপস পালের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে, ঠিক তখনই বিরোধীরা এই রকমের অভিযোগ করছে কেন! এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করল প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, তাপস পালের মৃত্যু নিয়ে অনেক রাজনীতি হল। একদিকে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের মৃত্যুর জন্য যখন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দায়ী করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তাপস পালকে তৃণমূল একঘেয়ে করে দিয়েছিল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাপস পালের সঙ্গে দেখা করেননি বলে অভিযোগ করে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করল। কিন্তু মিথ্যে যে বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয় না, তা সেদিনের সেই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এখন তাপস পালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা করা নিয়ে বিরোধীরা যে অসত্য ভাষণ দিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে সাফাই মূলক বক্তব্য হিসেবে বিরোধীদের তরফে কী প্রতিক্রিয়া আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -