টার্গেট বিধানসভা! জঙ্গলমহলের উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য November 27, 2019 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগে তৃণমূল তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে জঙ্গলমহলকে শান্ত করার কথা বলেছিল। এককালে যে জঙ্গলমহলের মানুষের সকাল হত মৃত্যু দেখে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর সেখানে কিছুটা হলেও শান্তি ফিরেছে। শাসক থেকে বিরোধী, প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই এটা একবাক্যে স্বীকার করে নেয়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার জঙ্গলমহলের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিলেও সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে সেই জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ভোটব্যাংক অনেকটাই কমেছে। উত্থান ঘটেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। আর এই পরিস্থিতিতে উন্নয়নের ডালি নিয়ে সেই জঙ্গলমহলের মানুষের পাশে থাকতে অভিনব উদ্যোগ নিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, অনেকদিন আগে থেকেই জঙ্গলমহলের গরিব ছেলে, মেয়েদের সুবিধার্থে এলাকাবাসীর তরফে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানানো হয়। আর সেই দাবি মেনে এবার ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরীর জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর জন্য ইতিমধ্যেই পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রায় 20 কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শেষ করার সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে দুই বছর। আর মা-মাটি-মানুষের সরকারের পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ায় ভোটের অংক কাজ করছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উন্নয়নের ডালি নিয়ে জঙ্গলমহলে পৌঁছে যাওয়ার পেছনে নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। কেননা লোকসভায় এই জঙ্গলমহল এলাকায় তৃণমূল ব্যাপকভাবে পরাজিত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। তাই সেদিক থেকে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তার আগে এই এলাকার মানুষদের সমর্থন পেতে এলাকাবাসীর দাবি মত সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -