তারুণ্যের ওপর ভরসা রেখে নয়া সিদ্ধান্ত মমতার, যুব নেতারাই দায়িত্ব পেতে চলেছেন মূল সংগঠনের? বাড়ছে জল্পনা! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 11, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করার পরেই এবার সংগঠনকে আরও নতুন করে সাজাতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণে দলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে তাকে কার্যত দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড করে দেওয়া হয়েছে। মূল সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন অভিষেকবাবু। আর তারপরেই বেশ কিছুদিনের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি জেলার তৃণমূলের দলীয় সংগঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই বিষয় নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে। এক্ষেত্রে “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি কার্যকর করার কারণে বহু প্রশাসনিক পদে থাকা ব্যক্তিরা দলীয় পদে থাকতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই একাধিক জেলার সভাপতি পরিবর্তন হতে পারে বলেও গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। আর তার মাঝেই জেলা সভাপতি পরিবর্তন হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু জেলায় যুব সংগঠনের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতিরা মূল সংগঠনের সভাপতির জায়গা দখল করতে পারে বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন তারুণ্যের ওপর ভরসা রেখে আগামী দিনে পথ চলতে চাইছেন। আর সেই কারণেই যুব নেতাদের সামনে এনে মূল সংগঠনের দায়িত্ব দিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চাইছেন তিনি। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, রাজ্যের প্রায় 10 থেকে 12 টি জেলার সভাপতি পরিবর্তন করা হতে পারে। তবে মূল সংগঠনের সভাপতি পরিবর্তন করা হলে সেখানে মাদার সংগঠনের নতুন কোনো নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, এমনটাই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিক থেকে মাদার সংগঠনের কোনো নেতা নয়, বরঞ্চ যুব নেতাদের সরাসরি মূল সাংগঠনিক দায়িত্বে বসাতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন যুব সভাপতি থেকে সরাসরি মাদার সংগঠনে নিয়ে আসা হয়েছে, ঠিক তেমনই অভিষেকবাবু যুব সভাপতি থাকার সময় যারা বিভিন্ন জেলার যুব সভাপতি ছিলেন, তাদেরকে এখন মাদার সংগঠনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। অর্থাৎ পুরোপুরি সংগঠনকে বদলে দিয়ে চনমনে করে তুলতে যুবদের উপরেই ভরসা রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই 2024 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ছাত্র যুবদের উপর ভরসা রেখে এবার সংগঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে বিস্তারলাভ করাতে চাইছেন। এক্ষেত্রে দলের বেশ কিছু গঠনতন্ত্র এবং নীতি কার্যকর করে দলকে আরও শৃংখলাবদ্ধ করতে চাইছেন তিনি। আর সেই কারণেই 2024 এর লক্ষ্যে এখন থেকে কোমর বাধতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলা দখল করার পর এখন তাদের নেক্সট টার্গেট দিল্লি দখল। তবে দিল্লি দখল করতে গেলে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি যে মজবুত করতে হবে, তা উপলব্ধি করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করার পরই সংগঠনকে আরও ঢেলে সাজাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলস্বরুপ বেশকিছু জেলার সভাপতি যেমন পরিবর্তন করা হবে, ঠিক তেমনই সেই সভাপতির জায়গায় যুব সংগঠনের নেতাদের নিয়ে আসা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ মাদার সংগঠনের নেতাদের আধিক্যের বদলে এবার যুব এবং তরুণ মুখদের সামনে এনে আগামীর প্রস্তুতি নিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। সব মিলিয়ে তৃণমূলের এই মেগা বদল কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছয়, কোন কোন জেলায় কোন কোন হেভিওয়েটের ডানা ছাটা পড়ে এবং তাদের জায়গায় দায়িত্বে আসেন কোন কোন তরুণ মুখ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -