এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > টিচার-ইন-চার্জের বেতন বন্ধ নিয়ে আদালতের নির্দেশে বড়সড় অস্বস্তিতে রাজ্য-প্রশাসন

টিচার-ইন-চার্জের বেতন বন্ধ নিয়ে আদালতের নির্দেশে বড়সড় অস্বস্তিতে রাজ্য-প্রশাসন


শিক্ষিকা বদলিকে কেন্দ্র করে আইনি জটের মুখে বীরভূমের বারহারা হাইস্কুলের টিচার-ইন-চার্জ তথা সহকারী প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন অধিকারী। প্রথমে তাঁর বেতন বন্ধের নির্দেশ কার্যকর হলেও পরে সে নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়। যুক্তি, যে শিক্ষিকার বদলি না হওয়ার প্রেক্ষিতে বেতন বন্ধের নির্দেশ জারি হয়েছিল তা যথা্যথ নয় বলেই পাল্টা সওয়াল তোলেন মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী। তারপরই বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বেতন বন্ধের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন। তবে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে বলেও জানান তিনি। আদালতে এই মামলার জল বহুদূর গড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আদালত এবং স্কুল সূত্রের খবর থেকে জানা গেল,মামলাকারী অর্পিতা গুঁই ২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বীরভূমের বারহারা হাইস্কিলে শিক্ষিকা হিসাবে নিযুক্ত হন। নানান সমস্যার কারণে তিনি স্কুল বদলের আবেদন করেন। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। কয়েক দফা মামলা করার পর তাকে দমদমের একটি স্কুলে বদলির নির্দেশ দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু কমিশন নির্দেশ দিলেও বীরভূমের বিদ্যালয়টি থেকে তাকে রিলিজ অর্ডার দেয়নি। এ নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষিকা। হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২০ জুন ওই শিক্ষিকাকে রিলিজ অর্ডার দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তাতেও কোনো গুরুত্ব দেননি স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ। স্কুলের এ ধরণের আচরণে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন অর্পিতা দেবী। অভিযোগ জানিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা করেন এবার।

এর পাশাপাশি,’রিলিজ অর্ডার’ ছাড়াই দমদমের ওই স্কুলে যোগ দেওয়ার আবেদনও করেন হাইকোর্ট ওই শিক্ষিকা। বিচারক শিক্ষিকার রিলিজ অর্ডার পাওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দপন বীরভূম এবং বারাকপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শকদের (এস.আই)। একদিকে টিচার-ইন-চার্জের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা অন্যদিকে রিলিজ অর্ডার না ছাড়ার প্রশ্ন। দুদিক দিয়েই চাপে পড়ে যান সহকারী প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন অধিকারী। ফলত আইনি জটিলতায় মামলাটি আরো ঘোরালো হতে থাকে। এই প্রেক্ষিতেই ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশ জারি হয়। চলতি বছরের ১৮ জুন,মামলার শুনানির দিন ওই শিক্ষকের তরফ থেকে যুক্তি রাখা হয়,শিক্ষিকা অর্পিতা গুঁই-এর বদলির নির্দেশ আইনানুগ নয়। এবং শিক্ষিকার বদলির নির্দেশ খারিজ করার দাবী রাখেন। এই আবেদন পর এতোদিন ধরে রিলিজ অর্ডারের জন্য লড়াই করা শিক্ষিকার রিলিজ অর্ডার দেওয়ার নির্দেশ বাতিল হয়ে করে দেন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তারপর মামলা চলাকালীন চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এই তথ্য সামনে আসায় বিচারপতি তালুকদার শিক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশ বাতিল করে দেন। গোটা ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে রাজ্য প্রশাসন। একটি শিক্ষিকার বদলি নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা কবে মিটবে সেটা এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!