শিক্ষক করোনা আক্রান্ত, টিউশন পড়তে গিয়ে ছাত্ররাও কোভিড পজিটিভ! ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য September 1, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে পড়াশুনো সিকেয় উঠেছে। স্কুল কলেজ বন্ধ। বাড়ি বসে বসে ছেলে মেয়ে শুধু ফোন নিয়ে ব্যস্ত এই অভিযোগ সব বাবা মায়ের। স্কুলে গেলে যদিওবা ছেলে মেয়ে কিছুটা পড়ত, করোনা হয়ে সব চুলোয় গেছে। দিন দিন উচ্ছন্নে যাচ্ছে ছেলে মেয়ে। স্কুলের অনলাইন ক্লাসে কিযে হচ্ছে, ছেলে মেয়ে কি যে বুঝছে আর কীই বা বুঝছে না কিছুই বিশেষ হজম হচ্ছে না অভিভাবকদের। অগত্যা বাড়ির টিউশনই এখন ভরসা। অন্ধের যোষ্ঠি। তবে সেই পড়তে গিয়েও কি খুব একটা নিরাপদ রয়েছে আপনার সন্তান? সম্প্রতি এমন অনেক ঘটনা সামনে এসেছে যা থেকে বোঝা গেছে যে এই বাড়িতে পড়তে যাওয়াতেও লুকিয়ে আছে করোনা ভয়। কারণ সেই মানুষটি আদৌ সুস্থ কিনা সেই নিয়ে কোথাও কোন প্রমাণ নেই। ফলে যাকে ভরসা করে আপনি নিজের সন্তানকে পাঠাচ্ছেন, তিনি হয়ত নিজের অজান্তেই নিজের শরীরে পুষে রেখেছেন রোগ। সম্প্রতি কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা সেই কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত ওই যুবক পঞ্চায়েতের ভিলেজ রিসোর্স পার্সন এর সঙ্গে বাড়িতে তিনি বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদেরও পড়ান। তাঁর করোনা পজিটিভ হওয়ায়, তাঁর চার ছাত্রের রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। শুধু এই একটা নয়, ইতিমধ্যেই নদীয়া জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১০৪ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬জন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রেস নোট অনুযায়ী, চাকদহ ব্লকে ১৭জন, কল্যাণী পুরসভায় ১২জন, হরিণঘাটা ব্লকে ১০জন, রানাঘাট পুরসভায় ৮জন, কৃষ্ণনগর-২ ও রানাঘাট-২ ব্লকে ৬জন, হাঁসখালি ব্লকে ৫জন, নবদ্বীপ ব্লক, চাকদহ ও শান্তিপুর পুরসভায় ৪জন, কৃষ্ণনগর ও গয়েশপুর পুরসভা এবং রানাঘাট-১ ও চাপড়া ব্লকে ৩জন,কৃষ্ণনগর-১-শান্তিপুর-কালীগঞ্জ ও করিমপুর ব্লক ও তাহেরপুর নোটিফায়েড এরিয়ায় ২জন এবং হরিণঘাটা ও নবদ্বীপ পুরসভায়, কুপার্স ক্যাম্প এলাকা, নাকাশিপাড়া, তেহট্ট-১ ও করিমপুর-২ ব্লকে ১জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এছাড়াও রানাঘাট পুরসভার ১০ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডের একই পরিবারের ২জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা এক ব্যক্তিও আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও রানাঘাট-২ ব্লকের আড়ংঘাটা পঞ্চায়েত এলাকার ৪জন এবং যুগলকিশোর ও দত্তপুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার ১জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে। কৃষ্ণনগর কোভিড হাসপাতালে কালীগঞ্জের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। চাপড়ার এক বৃদ্ধও মারা গিয়েছেন বলে জানা গেছে। উভয় ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে করোনা ভাইরাসের কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে শান্তিপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়ায় এক মহিলার মৃত্যুর পর সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কিছুদিন আগে ওই মহিলার স্বামী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায়, তিনি বর্তমানে রানাঘাটের সেফ হোমে রয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী মারা যাওয়ার পর রিপোর্ট পজিটিভ আসছে বলে দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেন এমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্দেশিকা জানানো হয়েছে। আপনার মতামত জানান -