এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জ্বলন্ত দুই দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের ঘুম উড়িয়ে এবার শিক্ষকদের নবান্ন অভিযান – জানুন বিস্তারিত

জ্বলন্ত দুই দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের ঘুম উড়িয়ে এবার শিক্ষকদের নবান্ন অভিযান – জানুন বিস্তারিত


রাজ্য সরকারের বঞ্চনা নিয়ে ক্রমশ মুখর হয়ে উঠছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকরা। ইতিমধ্যেই, রাজ্য সরকারের কাছে বিভিন্ন ভাবে আবেদন-নিবেদন করে বা আলোচনার টেবিলে বসেও কোনো সুরাহা হয় নি বলে অভিযোগ। আর তাই এবার রাজ্যের শিক্ষকদের দুই জ্বলন্ত বঞ্চনার দাবিকে সামনে রেখে নবান্ন অভিযানের পথে রাজ্যের শিক্ষকরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।

সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা পিটিটিআই পড়ুয়াদের হয়ে আন্দোলন করছি। বাম সরকারের পতনের পর, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান এই পিটিটিআই আন্দোলনকেই অন্যতম ফ্যাক্টর হিসাবে মান্যতা দিয়েছিলেন। তৎকালীন বিরোধী নেত্রী এই আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন – তিনি তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে এসে পিটিটিআই পড়ুয়াদের অনশন ভঙ্গ করেন। এরপরে, তিনি রাইটার্স বিল্ডিঙে এক ঐতিহাসিক সাংবাদিক সম্মেলনে ২০১১ সালে ঘোষণা করেন, পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে পিটিটিআই পড়ুয়াদের তিনি চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পিন্টুবাবুর অভিযোগ, কিন্তু এর পর ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও রাজ্য সরকার এই নিয়ে কিচ্ছু করে নি। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বারবার বৈঠকে বসার চেষ্টা করলে, তিনিও দেখছি-দেখব করে এড়িয়ে গেছেন। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে গেলে, পুলিশ দিয়ে দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সেই আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করেছে বর্তমান রাজ্য সরকার। এছাড়াও, শিক্ষক আন্দোলনের জেরে শিক্ষামন্ত্রী জিও প্রকাশ করে ঘোষণা করেন যে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন পিবি-২ থেকে পিবি-৩ স্কেলে উন্নীত করা হবে। কিন্তু, আইনের মারপ্যাঁচে শিক্ষকদের বেতন বাড়াচ্ছে না রাজ্য সরকার।

পিন্টুবাবুর কথায়, প্রাথমিক শিক্ষকরা যখন আমরণ অনশন করছিলেন, তখন গত ২৫ শে জুলাই শিক্ষামন্ত্রী আমাদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসে, আমাদের দাবিমত ৩,৬০০ স্কেলের কথা মেনে নেন এবং সেই ঘোষণাই তিনি গত ২৬ শে জুলাই করেন। এরপর, এই নিয়ে জিও বেরোনোর পরেও যখন এই নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত সামনে আসছিল না, তখন গত ৪ ঠা সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী পুনরায় আমাদের সঙ্গে বিধানসভায় আলোচনায় বসেন। সেখানেই তিনি, পে-ফিক্সেশন ও পে-প্রটেকশন নিয়ে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দেন। অথচ এখনও তা কার্যকর হয় নি। ফলে আমরা তা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে গেলে, পুলিশ দিয়ে আমাদের গ্রেপ্তার করানো হয়। ফলে, একপ্রকার বাধ্য হয়েই আমাদের নবান্ন অভিযানে যেতে হচ্ছে।

পিন্টুবাবু আরও জানান, যদিও বা বাড়ানো হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, যে শিক্ষক যত পুরোনো, তাঁর বঞ্চনার পরিমান তত বেশি। ফলে, রাজ্যের শিক্ষককূলের এই দুই জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে আগামী ২৩ তারিখ আমরা নবান্ন অভিযান করছি। ইতিমধ্যেই আমরা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়ে গেছি। তবে, পুলিশ এখনও প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে, আশাকরি কোর্টের মাধ্যমে হলেও পুলিশের অনুমতিও আমরা পেয়ে যাবো। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সময় চেয়ে গতকালই নবান্নে, ওনার অফিসে চিঠি জমা দিয়েছি। রাজ্যের সকল শিক্ষককে ও শিক্ষক সংগঠনকে আমি অনুরোধ করব – শিক্ষার স্বার্থে আগামী ২৩ তারিখের নবান্ন অভিযানে শামিল হয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নিজেদের ন্যায্য অধিকার বুঝে নিন। আর নবান্ন অভিযানের পরেও যদি, মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্য সরকার কোনো সদর্থক পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে পুজোর আগেই আমরা বৃহত্তর শিক্ষক স্বার্থে আমরণ অনশনে বসব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!