এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আবার বড় জয় শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের, শিক্ষকদের ‘চাঁদার নির্দেশিকা’ নিয়ে পদক্ষেপ ঘোষণা হতেই তড়িঘড়ি প্রত্যাহার!

আবার বড় জয় শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের, শিক্ষকদের ‘চাঁদার নির্দেশিকা’ নিয়ে পদক্ষেপ ঘোষণা হতেই তড়িঘড়ি প্রত্যাহার!


রাজ্যজুড়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের ক্রমশ অন্যতম প্রধান মুখ হয়ে উঠছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। রাজ্যজুড়ে যেভাবে একের পর এক পরিশীলিত অথচ তীব্র আন্দোলন কর্মসূচি নিচ্ছেন এই সংগঠনের শীর্ষনেতারা – তাতে প্রাথমিক প্রশাসনিক চাপ বা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ধমক চমক থাকলেও – শেষ পর্যন্ত জয় হচ্ছে শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবিরই।

রাজ্যের শিক্ষকদের ‘বেআইনি’ ডিও-বিএলও ডিউটি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আইনি লড়াই করে সাফল্য থেকে শুরু করে সাম্প্রতিককালে পিআরটি স্কেল না দেওয়ার প্রতিবাদে সরকারকে শিক্ষকদের থেকে চাঁদা নেওয়া বন্ধ করে সরকারি অনুদানে স্কুলক্রীড়া করতে একপ্রকার বাধ্য করা – সবই নজিরবিহীনভাবে হয়ে চলেছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের জমাটি আন্দোলনের হাত ধরে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আজ সকালের এক খবরে আমরা আপনাদের জানিয়েছিলাম, শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের শীর্ষনেতা মইদুল ইসলাম প্রমানসহ জানিয়েছেন যে, যেখানে শিক্ষামন্ত্রী আমাদের জানিয়েছিলেন স্পোর্টসের এই চাঁদা নিয়ে তিনি নাকি কিছুই জানেন না! অথচ সরকারি এক আধিকারিক, খোদ জেলা প্রাথমিক স্কুল পর্ষদের চেয়ারম্যান রীতিমত সরকারি ছাপানো প্যাডে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে সরকারি নির্দেশিকা পাঠাচ্ছেন এই স্কুল ক্রীড়ার জন্য ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে। শিক্ষকদের উপর এইভাবে জুলুমবাজি ও চাপ সৃষ্টির প্রতিবাদে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী বৃহস্পতিবার আমরা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক স্কুল পর্ষদের চেয়ারম্যানের অফিসে আমরা প্রতিবাদ আন্দোলন করব ও ডেপুটেশন দেব।

আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই, এবার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই জেলা প্রাথমিক স্কুল পর্ষদের চেয়ারম্যান পাল্টা এক নির্দেশিকা দিয়ে আগের নির্দেশিকা বাতিল ও প্রত্যাহার করে নিলেন। এই প্রসঙ্গে মইদুলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আপনাদের গতকালই জানিয়েছিলাম – আন্দোলনই দাবী আদায়ের একমাত্র পথ। আমরা যদি নৈতিকভাবে ঠিক থাকি ও ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন জারি রাখি তবে – সত্যের জয় হবেই। এক্ষেত্রেও ঠিক তাই হল – আমরা অত্যন্ত খুশি যে আমাদের দাবি ও প্রতিবাদ একদম সঠিক ছিল, তা প্রমাণিত হয়ে গেল আবারো। আমরা একইভাবে আগামীদিনেও যেখানে অন্যায় দেখব – সেখানেই এইভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব, সেই লক্ষ্যেই শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ এগিয়ে চলেছে।

এই সেই সরকারি ‘নির্দেশিকা’ – যাকে ঘিরে রাজ্যের শিক্ষক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
বাতিল হয়ে যাওয়া আজকের সেই পাল্টা নির্দেশিকা।
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!