এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ‘ফাঁকিবাজি’ রুখতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিনব ‘দাওয়াইয়ের’ পথে প্রশাসন

‘ফাঁকিবাজি’ রুখতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিনব ‘দাওয়াইয়ের’ পথে প্রশাসন

“আসি যাই, মাইনে পাই”। দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই ফাঁকিবাজি পন্থা আটকাতে চাইলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।এবার সেই অসম্ভব কাজটিই করে দেখাতে চলেছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।সূত্রের খবর, বাঁকুড়া জেলার 3600 টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের 830 টি বিদ্যালয়ে প্রতিনিয়তই অভিযোগ ওঠে যে, কিছু রাজনৈতিক দল ও শিক্ষক সংগঠনের দৌলতে দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে না এসেও মাসের শেষে অন্যদের মতই মোটা অঙ্কের বেতন পেয়ে যান। কিন্তু এও কি সম্ভব?

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জানা গেছে, মাসের শেষে ফাঁকা ঘরে থাকায় হাজিরা খাতায় তাঁরা চুপিসারে সই করে বেরিয়ে যান।এমনকী প্রধান শিক্ষককেও তাঁরা কোনোরুপ তোয়াক্কা করেন না। আর এইব্যাপারে রিতীমত তিতিবিরক্ত অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা অভিভাবকদের কাছে ঘটনাবলী জানতে পেরে সেই স্কুলের ছুটি নিয়ে বেতন পাওয়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঘুঘুর বাসা ভাঙতে তৎপর হল জেলা প্রশাসন। জানা গেছে, জেলাস্তরে একটি পোর্টালে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সমস্ত স্কুলগুলির নাম ওইখানে নথিভুক্ত থাকবে। এমনকী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি নম্বর থাকবে। আর ওই নম্বরে দিনে তিনবার অর্থ্যাৎ  সকাল 10 টা, দুপুর দেড়টা এবং বিকেল সাড়ে তিনটের সময় প্রধান শিক্ষককে ম্যাসেজে করে নিজেদের উপস্থিতি জানাবেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।

সূত্রের খবর; নিজ নিজ এলাকার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাজিরার বিষয়টি স্থানীয় বিদ্যালয় পরিদর্শক, বিডিও এবং এসডিও দেখতে পারবেন।আর জেলার সমস্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাজিরার বিষয়টি দেখবেন জেলার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক ও জেলাশাসক। কিন্তূ কবে থেকে চালু হবে এই প্রক্রিয়া? এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “আগষ্ট মাস থেকেই এটা চালু হয়ে যাবে। প্রশাসনের আধিকারিকেরা স্কুলে স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিটে যাবেন। শিক্ষাক্ষেত্রে ফাঁকিবাজি কোনোওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”

স্কুলে স্কুলে শিক্ষকদের এই অনিয়ম নিয়ে একই কথা শোনা গেল বাঁকুড়ার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পঙ্কজ সরকারের গলায়। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্কুলে এহেন ব্যাবস্থা গ্রহন করায় জেলা প্রশাসনকে আমরা সবরকমভাবে সাহায্য করব।” সব মিলিয়ে স্কুলে স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ‘ফাঁকিবাজি’ আটকে কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে নয়া পদক্ষেপ বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!