এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শিক্ষক বদলিতেও “বিরোধীদের কণ্ঠরোধের” অভিযোগে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি

শিক্ষক বদলিতেও “বিরোধীদের কণ্ঠরোধের” অভিযোগে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি

110 জন পড়ুয়াবিশিষ্ট এক স্কুলের পাঁচটি ক্লাসের জন্য কোথাও রয়েছেন দুই থেকে তিনজন শিক্ষক আবার কোথাও বা 90 জন পড়ুয়ার পাঁচটি ক্লাসের জন্য রয়েছেন 7 জন শিক্ষক। আর এর জেরেই বর্তমানে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের অনুপাতে অসামঞ্জস্যে প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।

জানা গেছে এই জেলায় সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত 3265 টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে 11 হাজার 663 জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। কিন্তু এই 3265 বিদ্যালয়ের মধ্যে 40 টি বিদ্যালয়েই ২০ জনের থেকেও কম ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন। পাশাপাশি গ্রামের বেশ কিছু বিদ্যালয়ে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি সেখানে আবার শিক্ষক-শিক্ষিকার দেখা নেই। আর এতেই জেলার সিংহভাগ বিদ্যালয়গুলিতে শিকেয় উঠছিল পঠন পাঠন। তাই এই ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের সামঞ্জস্য আনার জন্য এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি প্রক্রিয়া ঠিকঠাক করবার জন্য কদিন আগেই জেলা প্রশাসন; বিদ্যালয় সংসদ; জেলা সর্বশিক্ষা মিশন ও প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটিও করা হয়েছিল।

আর সেখানেই ঠিক হয়েছে যে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই এই বদলি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে। এ প্রসঙ্গে জেলা বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মানুষ দাস বলেন কুড়িজন পড়বার বিদ্যালয় দুজন করে শিক্ষক এবং বাকি বিদ্যালয়গুলিতে কমপক্ষে চারজন শিক্ষক শিক্ষিকা রাখার কথা ভাবা হয়েছে।” পাশাপাশি যে সমস্ত বিদ্যালয়ের পড়ুয়ার তুলনায় শিক্ষক শিক্ষিকা বেশি রয়েছেন তাদেরকে অন্য বিদ্যালয়ে বদলির কথাও চিন্তাভাবনা করছে জেলা বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদ। আর জেলা বিদ্যালয় সংসদের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ; বিরোধীদের কণ্ঠরোধকে দমাতেই প্রশাসন এহেন উদ্যোগ নিচ্ছে।

এদিন এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক সতীশ শাহু বলেন; “2014 এবং 17 সালে নতুন শিক্ষক নিয়োগের সময় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে যাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল এখন তাদেরই একাংশকে বাধ্যতামূলক অন্যত্র বদলির চেষ্টা চলছে এটা সংসদের ত্রুটি এবং বিরোধী সংগঠনকে দমানো ছাড়া আর কিছুই নয়।” অন্যদিকে জেলা বিদ্যালয় সংসদের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিকও। এদিন তিনি বলেন; “বহু বিদ্যালয়ে ই স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই। তাই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না করে এভাবে বদলির প্রক্রিয়ায় সকলেই আতঙ্কিত।” তবে বিরোধীদের তরফে ওঠা এই সমস্ত অভিযোগকে খন্ডন করেছেন শাসকদল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন ওয়েস্টবেঙ্গল তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

এদিনেই সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নীলকান্ত অধিকারী বলেন; “শিক্ষার স্বার্থে শিক্ষকদের একাংশকে অন্য বিদ্যালয়ে বদলি করা হচ্ছে। এতে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ পুরোপুরিই ভিত্তিহীন।” তবে তৃণমূল বা সরকার যে যাই বলুক না কেন বিরোধীরা যে এই বদলি ইস্যুতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর আরও চওড়া করবে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!