অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য দুঃসংবাদ, এখনও কোনো পেনশন প্রাপ্তি সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান হল না রাজ্য July 6, 2018 1981 সালের ডেথ কাম রিটায়রাল বেনিফিট স্কিম মোতাবেক পেনশনের পাওয়ার ব্যাপারে শিক্ষকেরা সিপিএফ বা জিপিএফ প্রকল্প বেছে নিতে পারলেও সিপিএফে অবসরের বয়স 65 বছর হওয়ায় আর কোনো পেনশন পাওয়ায় সুযোগ ছিল না তাঁদের। সূত্রের খবর, রোপা 90 চালু হবার পরেই এই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। অনেকেই পেনশন পাওয়ার জন্য এই প্রকল্পে নাম লেখালে অবসরের বয়স কমে দাড়ায় 60 বছর। আর এর পরেই সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে, সিপিএফ বেছে নেওয়া শিক্ষকদের পেনশন দিতে পিরবে না তাঁরা। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক বাধলে কোর্টের দরজায়ও যেতে হয়। পাঁচ বছর আগে 2013 সালের 16 ই জুলাই সেএ রায়দানে তিন বিচারপতিল ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, যে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা সিপিএফের দৌলতে যে একগুচ্ছ টাকা নিয়েছিলেন তাঁর ছয় শতাংশ অর্থ সুদ সহ ফেরত দিলেই তাঁলা এই পেনশন পাবেন। প্রিয় বন্ধু বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ – Priyo Bandhu Bengali —————————————————————————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি এ নিয়ে কোলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য, দীপঙ্কর দত্ত ও জয়মাল্য বাগচীর একটি ডিভিশন বেঞ্চ তৈরি হয়। সেখানেই রাজ্যের তরফে বলা হয়, সিপিএফের টাকা যেদিন সুদ সহ ফেরত দেওয়া হবে সেদিন থেকেই এই পেনশন পাবেন তাঁরা। তারপরই এই বেঞ্চ পশ্ন করে, তাহলে 10 বছর আগে অবসর নিয়ে যিনি এখন টাকা ফেরত দিলেন, তাঁর 10 বছরের পেনশন কি দেবে না সরকার? এখানে রাজ্য সরকার জানায়, রায় অনুযায়ী তাঁরা সমস্ত পদক্ষেপ করবে। এদিকে এই বিষয় নিয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলেও এখনও কোনো রফাসূত্র মেলেনি। এদিন এই তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের বক্তব্য কোর্টে দিতে বলেছে। আর তারপর মামলাকারীদের তরফে জবাব দিলেই হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিকে এই বিষয় সম্পর্কে সরকার কোর্টে হলফনামা পেশ করতে চাইলেও মামলাকারীদের তরফে বলা হয়, পূর্বের রায়ে সামান্য সংশোধন হলেই আর কোনো বিতর্ক থাকবে না। অবসলের দিন থেকেই পেনশন প্রাপ্য এই টানাপোড়েনে যদি সরকার কিছুটা নমনীয় হয় তবে এই রায়ে জটিলতা বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কাই নেই বলে মনে করছেন অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগী শিক্ষকদের একাংশ। আপনার মতামত জানান -