এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > হেরোইন রাখার অপরাধে গ্রেপ্তার স্কুল শিক্ষক ও পুরকর্মী, তীব্র চাঞ্চল্য অধিকারী – গড়ে

হেরোইন রাখার অপরাধে গ্রেপ্তার স্কুল শিক্ষক ও পুরকর্মী, তীব্র চাঞ্চল্য অধিকারী – গড়ে


এবার সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে হেরোইন রাখার অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল তমলুকে। সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার বিকেলে তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে হেরোইন সহ গ্রেপ্তার করা হয় এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক এবং তমলুক পৌরসভার এক কর্মীকে।

জানা যায়, ধৃত দীপন সাহা নন্দকুমার ব্লকের চকবহিচবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। অপরদিকে এই ঘটনায় ধৃত রাজ ভাঙ্গারি তমলুক পুরসভায় কর্মরত ছিলেন। এদিন বিশেষ সূত্র মারফত খবর পেয়ে সেই তমলুকে ধারিন্দা এলাকার বাসিন্দা দীপন দাস এবং তমলুক পুরসভারই 15 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজ ভাঙ্গারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিন এ প্রসঙ্গে তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল বলেন, “হেরোইন পাচারের অভিযোগে এক শিক্ষক ও পুরসভার এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল পাণ্ডাদের খোঁজে তল্লাশিও শুরু হয়েছে।” এদিকে তমলুকের বুকে এই ঘটনা নতুন নয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 13 ই জুলাই এই হেরোইন রাখার অভিযোগে খাদি ও ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রি দপ্তরের অন্যতম এট আধিকারিকের ছেলে অনুপম পাইন এবং দেবরাজ বসুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু তারপরও শহরে জাঁকিয়ে বসেছে এই হেরোইনের ব্যবসা। আর যা প্রবল চিন্তায় ফেলেছে পুলিশ প্রশাসনকে। সূত্রের খবর, এদিন সেই শিক্ষক ও পুর কর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলায় পুলিশ জানতে পেরেছে যে রূপনারায়ন নদীর পাশে পরিত্যক্ত ইটভাটার ফাঁকা জায়গাই এখন এই নেশাখোরদের ঠেক। দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ডহারবার থেকে নদীপথে তমলুক শহরে 150 থেকে 160 টাকার বিনিময়ে এই হেরোইনের পুরিয়া পৌঁছে যায় নেশাখোরদের কাছে।

এবার তা বন্ধ করতেই ময়দানে নামছে প্রশাসন। এদিকে এদিন সেই ধৃত দীপন সাহা এবং রাজ ভাঙ্গারিকে আদালতে তোলা হলে তাদের জামিন দিয়ে দেন তমলুক জেলা আদালতের বিচারক। তবে এই শহর জুড়ে হেরোইনের এই বাড়বাড়ন্তে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষও।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন এ প্রসঙ্গে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়ে তমলুকের বাসিন্দা নিশিকান্ত মেটিয়া ও শুভাশিস আচার্যরা বলেন, “যেভাবে গোটা শহরে ইনিস আছড়িয়ে পড়ছে তাতে সকলেই আমরা আতঙ্কিত।” অবিলম্বে এই হেরোইন পাচার চক্রের পান্ডাদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছেন তারা। সব মিলিয়ে তমলুকে এই হেরোইন নেশা বন্ধ করতে এখন ঠিক কী উদ্যোগ নেয় প্রশাসন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!