এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শিক্ষক নিয়োগ অবশ্যই হবে, তবে স্কুলগুলিতে শিক্ষক অপ্রতুল নয় – বড় দাবি শিক্ষামন্ত্রীর

শিক্ষক নিয়োগ অবশ্যই হবে, তবে স্কুলগুলিতে শিক্ষক অপ্রতুল নয় – বড় দাবি শিক্ষামন্ত্রীর


রাজ্যে যেভাবে ইংরাজি মাধ্যম স্কুলগুলোর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে তাতে সেগুলির স্বীকৃতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভার প্রথমার্ধে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের প্রশ্ন ছিল,রাজ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গড়ে উঠছে। এ ব্যাপারে সরকারের কোনও উদ্যোগ আছে কি? তার জবাব দিতেই ক্রমবর্ধমান ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের উপর নজরদারি চালাবে রাজ্যসরকার।

এ প্রসঙ্গে আরো বলেন,শহরে ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের সংখ্যা বাড়লেও গ্রামের ছবি আলাদা। দিল্লি থেকে শংসাপত্র নিয়ে এসে রাজ্যে রাতারাতি স্কুল খুলে ফেলেছে কিছু কিছু বেসরকারি সংস্থা,অথচ রাজ্যের থেকে এনওসি(নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) নিচ্ছে না। সে ব্যাপারে সতর্ক হবার আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে কীভাবে পড়ানো হচ্ছে। কোন প্রক্রিয়ায় পঠনপাঠান চালাচ্ছেন তাঁরা স্কুলে,সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ তদন্ত করার কথা জানালেন তিনি।

যেভাবে রাজ্যে ইংরাজি মিডিয়াম স্কুলের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে তার জন্যে পূর্ববর্তী বামসরকারকে দায়ী করলেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রাথমিক শিক্ষায় ইংরাজিই তুলে দিয়েছিল বামফ্রন্ট, তার জেরে রাজ্যে তখন থেকেই ইংরাজি মাধ্যম স্কুলগুলোর চাহিদা বাড়তে থাকে। প্রসঙ্গে তুলে ধরেন বর্তমান রাজ্যসরকারের শিক্ষাব্যবস্থায় সংস্কারের কথা।

জানালেন,তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্কুলছুটের সংখ্যা ক্রমশ কম হচ্ছে রাজ্যে। ২০১৬-১৭ সালে প্রাথমিকে স্কুলছুটের সংখ্যা ছিল যেখানে ৩.৮৫ শতাংশ, সেখানে ২০১৭-১৮ তে সেটা কমে হয়েছে ২.১২ শতাংশ। উচ্চ প্রাথমিকে ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে ছিল ৭.৫ শতাংশ, সেখানে ২০১৭-১৮তে তা কমে দাঁড়িয়েছে ০.১৭ শতাংশ। মাধ্যমিকে স্কুলছুটের সংখ্যা ছিল ২০১৬-১৭তে ২৬.৩২ শতাংশ, ২০১৭-১৮ তে কমে দাঁড়িয়েছে ১৪.৬৪ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিকে ২০১৬-১৭তে ছিল ২১.৫২ শতাংশ, ২০১৭-১৮তে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১.০৪ শতাংশ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত কন্যাশ্রী,সবুজ সাথীর মতো প্রকল্পের হাত ধরেই রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করা সম্ভব হয়েছে। পাঠক্রমে পরিবর্তন আনার জেরে শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামোতে বদল এসেছে। স্কুলছুটের সংখ্যা কমছে কিনা তার জন্য বুথভিত্তিক সমীক্ষাও করা হয় রাজ্যসরকারের তরফ থেকে। আগে ১৪ বছর পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের উপর সমীক্ষা চালানো হত সেটাই বাড়িয়ে এখন ১৮ করা হয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এরপর আসেন শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে। বললেন, প্রাথমিক স্তর থেকে ১:২০ অনুপাতে শিক্ষক নিয়োগ করার সদিচ্ছা রয়েছে রাজ্যসরকারের। অর্থাৎ ২০ জন ছাত্র পিছু ১ জন করে শিক্ষক নিয়োগের ইচ্ছার কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু কোর্টের মামলার কারণে এটা করা সম্ভব হচ্ছে। এমনটাই বক্তব্য তাঁর। কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রের এক প্রশ্নেট জবাবে এমনটাই জানালেন তিনি। বললেন, এখন কোনো সমস্যা হলেই সবাই কোর্ট ছুটছেন। এর ফলে সমস্যা আরো জটিল হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা,”কোন সমস্যা হলে দপ্তরে আসুন,ভুল হলে কথা বলুন,আলাপ-আলোচনা করুন। সেটা না করে সবাই কোর্টে চলে যাচ্ছেন। তাই সব আটকে যাচ্ছে।” তিনি আরো জানালেন,শিক্ষক বিন্যাস প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথায় ছাত্রছাত্রীর তুলনায় শিক্ষক কম রয়েছে,কোথায় বেশি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলেই জানালেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে আরো বললেন,”স্কুলগুলিতে শিক্ষক অপ্রতুল নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকার বিন্যাস সঠিক নয়। রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে ‘মিস ম্যাচ’ আছে। সেটা নিয়ে ইতিমধ্যে শিক্ষা দপ্তরের রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। তার ভিত্তিতেই শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে।” তবে বাম সরকারের জামানায় গণশক্তির (সিপিএমের মুখপাত্র) ১৭৫ জনকে চাকরি কারা দিয়েছে? এ প্রসঙ্গ তুলতেই শোরগোল পড়ে যায় বিধানসভায়। এই সংক্রান্ত তালিকা পেশ করার আর্জি জানান বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। সেটা সময় মতো দিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!