একুল-ওকুল বা দুকুল যাওয়ার আশঙ্কায় থরহরিকম্প বাংলার শিক্ষককুল রাজ্য April 25, 2018 রাজ্য নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশের জেরেই আশঙ্কায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের অনেক শিক্ষক-প্রার্থী এখন একুল- ওকুল বা দুকুল যাওয়ার ভয়ে কাঁপছেন ।কেননা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তাঁদের জানানো হয়েছে যে, তাঁরা যে সরকারি দফতরে চাকরি করেন,ভোটে জেতার পর সেই দফতর যদি চাকরি আর পঞ্চায়েত পদ দুটোই চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি না দেয় তাহলে হয় চাকরিতে ইস্তফা দিতে হবে নয়তো ছাড়তে হবে জিতে আসা পদ।এই নির্দেশের জেরে প্রশ্ন উঠেছে তাদের তরফ থেকে।ভোটে জিতলেও আদেও কি তাঁরা নির্বাচিত সদস্য পদে থাকতে পারবেন? যদি কোনো মতে থেকেও যান,বাঁচাতে কি পারবেন স্কুলের চাকরিটা? এখন স্কুলগুলির পরিচালন সমিতির মাথায় যে সরকার মনোনীত সভাপতিরা রয়েছেন তাঁদের সকলেই শাসক দলের। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ফলে সেই সব সভাপতির কাছ থেকে শিক্ষকতা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি বিরোধী প্রার্থীরা পাবেন কি না, তা নিয়েই আশঙ্কা প্রবল হয়েছে।একদিকে যেমন জীবিকার তাগিদে চাকরি ছাড়া সম্ভব নয় তেমনি আবার স্কুলের কাজ চালিয়ে যেতে হলে পঞ্চায়েতে জিতেও পদ ছাড়তে হতে পারে তাই এই দুই এর টানাপোড়েনে পরেই এখন শিক্ষকদের অবস্থা বড়োই অস্বস্তির,অনিশ্চিতের। এই নিয়ে সিপিআইয়ের শিক্ষক-নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ”শুধু মনোনয়ন নিয়ে শাসক দল যে-কাণ্ড করছে, এর পরে বিরোধী শিক্ষকদের কেউ জিতলে তাঁদের চাকরি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।” বিরোধীদের আশঙ্কা, পঞ্চায়েতের সর্বত্র দাপট অটুট রাখার তাগিদেই শাসক দল জিতে আসা প্রতিপক্ষকে মুছে ফেলতে চাইবে। বললেন নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি (এবিটিএ)-র সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য জানালেন যে,”সব পঞ্চায়েত বিরোধী-শূন্য করে দেওয়ার জন্য শাসক দলের প্রাণপণ চেষ্টাই নির্বাচনে লড়তে আগ্রহী শিক্ষকদের শঙ্কিত করে তুলেছে,”। আপনার মতামত জানান -