হাইকোর্টের রায়ে প্রাথমিক শিক্ষকরা ডিও/বিএলও ডিউটি বন্ধ করায় তৃণমূল নেতাদের হুমকি শুরু নদীয়া-২৪ পরগনা বিশেষ খবর রাজ্য October 4, 2018 কলকাতা হাইকোর্টে এক ঐতিহাসিক রায়ে গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী জানিয়ে দেন যে, প্রাথমিক শিক্ষকদের দিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে ডিও, বিএলও ও সুপারভাইজারের ডিউটি করাচ্ছেন তা আইনানুগ নয়। ফলে এই সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে তা অবৈধ। মামলায় এই রায়দান হয়ে গেলেও, কিছু টেকনিক্যাল কারণে সেই রায়ের কপি এখনো সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা হাতে পান নি। কিন্তু, যেহেতু আদালতে রায়দান হয়ে গেছে – তাই এই সংক্রান্ত কোন কাজ এখনো করলে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হতে পারে, এই জায়গা থেকে প্রায় সব শিক্ষকই এই ডিউটি থেকে নিজেদের বিরত রাখার চেষ্টা করছেন। অনেক শিক্ষক ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট ফরম্যাটে নিজেদের সংশ্লিষ্ট এসডিও বা বিডিওর কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়ে এই সংক্রান্ত ফাইল জমা করে দিয়েছেন। অনেকে আবার সেই রায়ের কপি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোনো সরকারি বিবৃতি না দিলেও বিভিন্ন স্থানে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের হুমকি দেওয়া ও ভীতি প্রদর্শন শুরু হয়ে গেছে। এরকমই এক ভিডিও হাতে এসেছে আমাদের। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও শাসকদলের টিকিটে জয়ী হওয়া ধনঞ্জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সন্তোষ হালদার বিদ্যালয়ে ঢুকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সঙ্গে রীতিমত হুমকির সুরে কথা বলছেন। যতই ডিউটিরত শিক্ষক তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, যেহেতু আদালতের রায় হয়ে গেছে তাই এই ডিউটি করা আর সম্ভব নয় বা নতুন কোন ফর্ম জমা নেওয়া আর সম্ভব নয়, ততই অবুঝের মত ওই তৃণমূল নেতা শিক্ষকের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে তিনি এই ব্যাপারে বিডিওকে ফোন করতে চাপ দিচ্ছেন বলেও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি তৃণমূল নেতা সন্তোষবাবু স্পষ্ট হুমকির সুরে জানিয়ে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যদি ফর্ম জমা না নেন, তাহলে তিনি ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে কিছুতেই বের হতে দেবেন না। দরকারে তিনি বিডিও বা পুলিশ ডেকে স্কুল থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যদিও, সম্পূর্ণ ভিডিওটি আমাদের হাতে আসেনি – কিন্তু, এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, পরবর্তীকালে ওই তৃণমূল নেতার হুমকি বা দুর্ব্যবহারের পরিমান অনেকাংশেই বেড়ে যায়। এরপরে তিনি ২৮ তারিখের পরে, যেসকল গ্রামবাসীর ফর্ম জমা নেওয়া হয় নি তাঁদের এবং অন্যান্যদের ডাকতে বেরিয়ে যান এবং যতক্ষন পর্যন্ত না ফর্ম জমা নেওয়া হবে ততক্ষন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে কিছুতেই স্কুল ছেড়ে বেড়োতে দেবে না বলে শাসিয়ে যান। দেখে নিন সেই ভিডিওর কিয়দংশ (বিধিসম্মত সতর্কীকরণ – এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখা প্রিয় বন্ধু বাংলার পক্ষে সম্ভব হয় নি) – আপনার মতামত জানান -