এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শিক্ষক থেকে ব্যবসায়ী – কার ওয়ার্ডে কেমন যোগাযোগ? হিসেব তৈরি পিকের, পুরভোটে ছক তৈরি তৃণমূলের

শিক্ষক থেকে ব্যবসায়ী – কার ওয়ার্ডে কেমন যোগাযোগ? হিসেব তৈরি পিকের, পুরভোটে ছক তৈরি তৃণমূলের

 

গ্রাম এবং শহরের বৈচিত্র নিয়েই গড়ে উঠেছে আমাদের প্রিয় বাংলা। 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগে গ্রামের মানুষের পাশাপাশি শহরাঞ্চলের মানুষের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ক্ষমতা বড় বালাই। বর্তমানে সেই ক্ষমতার দাপটে তৃণমূল নেতাদের ছোঁয়া পাওয়া বড়ই কঠিন। যার কারণে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে শহরাঞ্চলে মানুষ তৃণমূলের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। উত্থান ঘটেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আর বিজেপির এই উত্থানের পরই রীতিমতো আতঙ্ক গ্রাস করেছিল রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সমর্থন তাদের বাগে নিয়ে আসতে হবে বলে অনুভব করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যার পরেই দলের রননীতিকার হিসেবে ভোটগুরু বলে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই সেই প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশ মোতাবেক দিদিকে বলো কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তৃণমূলের নেতৃত্বরা। তবে সাধারণ জনগণের সাথে তৃণমূলের এই যোগাযোগ যে শুধুমাত্র ভোটবাক্স সেফ রাখার জন্যই, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। আর তাইতো এবার পৌরসভা নির্বাচনের আগে শহরাঞ্চলের বিশিষ্ট মানুষদের কাছে তৃণমূল নেতাদের যাওয়ার নির্দেশ দিল প্রশান্ত কিশোরের টিম।

যার ফলে সেই সমস্ত বিশিষ্ট মানুষজনের কাছে গিয়ে তৃণমূল নেতারা যেমন তাদের ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবেন, ঠিক তেমনই সেই বিশিষ্ট মানুষদের মাধ্যমে তারা অন্যান্য মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করবে বলে মনে করছে একাংশ। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ পৌরসভার 10 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতাদের একজন প্রধান শিক্ষকের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের টিম। এছাড়াও দুজন ব্যবসায়ী বাড়িতেও যাওয়ার কথা বলা হয়েছে তৃণমূলের নেতাদের।

স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, পিকের টিমের তরফে তৃণমূলের নেতাদের এই প্রধান শিক্ষক এবং দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলার পেছনে কারণ রয়েছে। কেননা এই তিন ব্যক্তি ওয়ার্ডে বেশ জনপ্রিয়। তাদেরকে ওয়ার্ডের অনেক মানুষ সম্মান করেন। তাই সেদিক থেকে সেই সম্মানীয় মানুষদের মন জয় করে তাদের মাধ্যমেই পৌরসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের শক্ত সংগঠন তৈরি করে নিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুর্শিদাবাদ জেলা বরাবরই কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখানকার রবিনহুড অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাপটে কার্যত বিরোধীরা মাথা তুলতে পারে না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী এখানকার পর্যবেক্ষক হওয়ার পরেই কংগ্রেসের দখলে থাকা অনেক পৌরসভা ভাঙিয়ে তা তৃণমূলের দখলে আনতে সক্ষম হয় রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু লোকসভায় বিজেপির উত্থানে আতঙ্কিত তৃণমূল এখন জনসংযোগকে হাতিয়ার করে পৌর নির্বাচনে ভালো ফল করতে চাইছে।

কেননা যদি তারা পৌরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে না পারে, তাহলে আগামী বিধানসভা তাদেরকে ভয়ঙ্কর ধাক্কা দেবে। তাই তৃণমূল দলের সাফল্যের দায়িত্ব নেওয়া প্রশান্ত কিশোরের টিম এখন পৌরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করাতে ওয়ার্ডের বিশিষ্ট মানুষদের কাছে তৃণমূল নেতাদের যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এতে করে কি জয় আসবে!

এদিন এই প্রসঙ্গে বহরমপুর মহকুমা তৃণমূলের সভাপতি অরিৎ মজুমদার বলেন, “উন্নয়নের স্বার্থেই মানুষ আমাদের পাশে থাকবে। প্রতিটি শহরেই বহু উন্নয়ন হয়েছে। আমরা সবসময় মানুষের পাশে থাকি। সেই কারণে জয়ের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী।”

তবে বিরোধীরা বলছে, আর যাই হোক পেশাদারী সংস্থাকে দিয়ে তৃণমূল জনসংযোগ রক্ষা করতে পারবে না। তাই মানুষের মন জয় করা তাদের পক্ষে আর সম্ভব হবে না। কিন্তু কি হবে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে চাপে পড়েই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়েই যে তৃণমূলকে এইরূপ উদ্যোগ নিতে হল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!