এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ত্রিপুরা দখলে আনতে শহীদ দিবসে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের, ব্যাপক চাপে বিজেপি! 

ত্রিপুরা দখলে আনতে শহীদ দিবসে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের, ব্যাপক চাপে বিজেপি! 


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এক সময় মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙ্গন ধরতে শুরু করে। যেখানে মুকুল রায়ের অনুগামীরা সদলবলে যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে সেই মুকুল রায় 2021 সালের বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পর আবার নিজের পুরাতন দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন। আর তারপর থেকেই বাংলার বিজেপির অন্দরমহলে যেমন ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঠিক তেমনই ত্রিপুরাতে সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে একাধিক বিধায়ক খুব দ্রুত বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আর বিজেপির ঘাড়ে যখন ত্রিপুরা নিয়ে কিছুটা হলেও আশঙ্কার মেঘ, তখন তাকে দীর্ঘায়িত করে সেই ত্রিপুরায় বিজেপির অন্দরমহলের চাপ বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে এবারের একুশে জুলাই শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান ত্রিপুরাতে রীতিমতো জায়েন্ট স্ক্রিন দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখানো হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ত্রিপুরায় বিজেপিতে ভাঙ্গন ধরার বিষয়টি টের পেতে তৃণমূল যে একেবারে শহীদ দিবসকে হাতিয়ার করে সেই ত্রিপুরাতে বাড়তি তৎপরতা দেখাতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, ত্রিপুরাতে কিভাবে একুশে জুলাই পালন করা হবে, তার ব্যাপারে রণনীতি তৈরি করতে ডেকে পাঠানো হয়েছে অন্যতম নেতা আশিস লাল সিংহকে। যেখানে বিভিন্ন জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ জায়ান্ট স্ক্রিনের মধ্যে দিয়ে শোনানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রথম একুশে জুলাই অন্যান্য রাজ্যগুলোতে সম্প্রচারিত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের কারণে এবারের একুশে জুলাই ভার্চুয়ালি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবসের মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন, তখন তা যাতে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার প্রধান লক্ষ্য, আগামী 2024 সালের আগে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করা। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই ত্রিপুরার মত রাজ্যকে পাখির চোখ করে সেখানে বিজেপির চাপ বাড়িয়ে দিতে এবং বিজেপির বিদ্রোহীদের নিজেদের দিকে টানতে তৃণমূলের একুশে জুলাই নয়া আঙ্গিকে পালন করা হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলেছেন, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার পর ত্রিপুরা বিজেপির একাধিক বিধায়ক কি করবেন, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। এক্ষেত্রে সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে অনেক বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

আর তা যদি হয়, তাহলে ত্রিপুরাতে বিজেপি অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই এই পরিস্থিতিতে সেখানকার বিজেপিকে চাপে রাখতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে রীতিমতো ঘটা করে একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠান পালন করে গেরুয়া শিবিরকে আরও চাপে ফেলার কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।অর্থাৎ বিজেপির বিদ্রোহীদের নিজেদের দিকে টানতে যে 21 শে জুলাই শহীদ দিবসকে হাতিয়ার করে ত্রিপুরাতে নিজেদের বিস্তার এবং আধিপত্য বাড়াতে চাইছে ঘাসফুল শিবির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!