এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তেলেঙ্গানা-ওড়িশাতে নতুন রাজনৈতিক অঙ্ক, পিছনে কি মোদীর পরিকল্পনা? বাড়ছে জল্পনা

তেলেঙ্গানা-ওড়িশাতে নতুন রাজনৈতিক অঙ্ক, পিছনে কি মোদীর পরিকল্পনা? বাড়ছে জল্পনা


পর পর দুটি রাজনৈতিক ঘটনার সূত্র ধরে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ এগিয়ে আসা নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হল। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৮ মাস আগেই তেলেঙ্গনা বিধানসভা ভঙ্গ করার সুপারিশ করেলেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এটা জানিয়ে রাজ্যপালকে ইস্তফাপত্রও ইতিমধ্যে জমা দিয়ে দিয়েছেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী।

এর পাশাপাশি গতকাল বিজু জনতা দল নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিতে জানিয়েছে,একটি জল্পনা শোনা যাচ্ছে লোকসভা ভোট আগামী বছরের পরিবর্তে এগিয়ে এ বছরের ডিসেম্বরে আনা হচ্ছে। এটাই যদি সত্যিই হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন যেন লোকসভা ভোটের সঙ্গেই যেন ওড়িশার নির্বাচন সম্পন্ন করে,এমনটাই ইচ্ছা ওড়িশা সরকারের। যুক্তিতে জানানো হয়েছে,এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে অনেক কম টাকা তাহলে সরকারি তহবিল থেকে খরচ হবে। হঠাৎ করে এই দুই দলের তরফ থেকে পর পর দুদিন এ ধরণের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে মোদীজির রাজনৈতিক রণকৌশল রয়েছে,এমনটাই সন্দেহ করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ প্রথম থেকেই বিধানসভা এবং লোকসভা একসঙ্গে করার ইচ্ছা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।

তবে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সাফ জানানো হয়েছে,এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। এমতাবস্থায় তেলেঙ্গনা এবং ওড়িশা প্রশাসনের প্রস্তাব আসলে কি মোদীকেই সমর্থন করার একটা নামান্তর? প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ওদিকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থান,ছত্তিশগড়,মিজোরামে। এর সঙ্গেই যদি তেলেঙ্গনা এবং ওড়িশাতে ভোট করানো যায় তাহলে সরকারেরই সুবিধা। প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসেই জুড়েই লোকসভা ভোটের সঙ্গে এই ছটি রাজ্যের ভোট সম্পন্ন হওয়ার। এই প্রেক্ষিতে দুটি লক্ষ্য সামনে এসেছে।

 প্রথমত,রাজ্যগুলিতে খারাপ ফলাফল বিচার করে আগামী লোকসভা ভোটে না যাওয়া। দ্বিতীয়ত, বিরোধীদের এক ছাতের তলায় আসার সুযোগ না দিয়ে আগেই তাঁদের বিপদে ফেলা। এর পাশাপাশি উঠে এসেছে তৃতীয় আরেকটি কারণ। ২০০৪ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী আত্মবিশ্বাসে ভর করে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু তাতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল সে বছরই বিজেপি সরকার। এই উদাহরণকে সামনে রেখে মোদীজি ভোট কখনো এগিয়ে আনবেন না এমনটাই শোনা গিয়েছিল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু নরেন্দ্র মোদী বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। এবং চমক দিতেও ভালোবসেন রাজনৈতিকমহল তথা মিডিয়াকে। এই সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না যে বাজপেয়ীজির মতো একই সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন না। কারণ এবারের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হলে তিনিই হবেন বিজেপির সবথেকে সফলতম নেতা। আর এই সুযোগ তিনি নিশ্চয়ই হাতছাড়া করতে চাইবেন না।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!