এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ২০১৫ টেট নিয়ে আদালতের রায়ে খুশির হাওয়া মামলাকারীদের, চাপে পর্ষদ

২০১৫ টেট নিয়ে আদালতের রায়ে খুশির হাওয়া মামলাকারীদের, চাপে পর্ষদ

ফের আইনি ফাঁসে আটকা পড়ল ২০১৫ এর প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি জারি করা পরীক্ষাটি হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেই জটিলতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল আবার। ফলত প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বর্তমানে নিযুক্ত শিক্ষকদের ভবিষ্যত। দীর্ঘদিন ধরেই পরীক্ষার ১১ টি প্রশ্ন বিভ্রাট নিয়ে মামলা চলছে হাইকোর্টে। এদিন মামলার শুনানিতে প্রশ্নভুল সংক্রান্ত মামলাকারীদের অভিযোগকেই সমর্থন করল রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত। জানিয়ে দিল,মামলাকারীদের সংশয়ে থাকা ১১ টি প্রশ্নের মধ্য ৭ টি প্রশ্নের উত্তরে পর্ষদ আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ভুল। তাই ওই বিতর্কিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলেই মিলবে সম্পূর্ণ নম্বর। ফের নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন বিচারক। এর জেরে ফের নতুন করে সমস্যা তৈরি হল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উত্তরে অস্পষ্টতা সামনে আসায় আপাতত চরম অস্বস্তির শিকার তারা।

পর্ষদ এবং আদালত সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,২৩ লক্ষ পরিক্ষার্থী বসেছিলেন ২০১৫ এর প্রাথমিক টেট পরীক্ষায়। সেই পরীক্ষার মেধা তালিকা প্রকাশ করে চাকরিও দেওয়া হয়েছে সফল পরীক্ষার্থীদের। বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত তাঁরা। কিন্তু এরই মাঝে টেটের ১১ টি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সংশয়প্রকাশ করে প্রায় কয়েকশো চাকুরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করে। কাঠগড়ায় দাঁড় করায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে এই অভিযোগ তুলে যে পর্ষদের তৈরি করা প্রশ্নপত্রের ১১ টি প্রশ্নের উত্তর ভুল রয়েছে। এই মামলা দিয়ে বেশ অনেকদিন ধরেই জল ঘোলা হচ্ছে আদালতে। তবে এদিন আদালত ১১ টি প্রশ্নের মধ্যে ৭ টি প্রশ্নকেই আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে ভুল বলে অভিযোগকারীদেরই স্বীকৃতি দিল।নির্দেশ দেওয়া হল ওই ৭ টি বিতর্কিত প্রশ্নের উত্তর যেসব পরীক্ষার্থীরা দিয়েছে উত্তরপত্র খতিয়ে দেখে তাঁদের সকলকে নম্বর দিতে। এবং তার ফলে পরীক্ষার্থীরা যদি টেটে উত্তীর্ন হয়ে যায় তবে তাঁদের চাকরির নিয়োগপত্র দিতে হবে। এর জেরে ফের নতুন মেধা তালিকা তৈরি করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এর আগের শুনানিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল গত ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই বিতর্কিত ১১ প্রশ্নের উত্তর সঠিক কিনা তার জন্য বিশিষ্ট অধ্যাপকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে। সেই কমিটির তরফ থেকেই জানানো হয়েছে ১১ টির মধ্যে ৭ টি প্রশ্নের উত্তর আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ভুল। কমিটির সুপারিশের উপর ভিত্তি করেই এদিন আদালতের তরফ থেকে নতুন মেধা তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হল। তবে,পর্ষদের জটিলতাকে কমাতে বিচারক জানিয়েছেন নতুন করে ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের খাতা খতিয়ে দেখলে হবে। এর জেরে মামলাকারীদের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে চাকরি পাওয়ার। আপাতত তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এই ইস্যুতে পর্ষদের পদক্ষেপ এবং আদালতের রায়দানের জন্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!