২০১২ এর টেট মামলায় বড় সিদ্ধান্ত আদালতের, ১৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের জন্য স্বস্তির খবর কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য July 26, 2018 গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ ২০১২ সালের টেট মামলা নিয়ে বড়সড় স্বস্তির খবর শোনালো রাজ্যের চাকরি পাওয়া ১৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের জন্য। প্রায় ৫ বছর আগে চাকরিতে যোগ দিলেও এতদিন চাকরি হারানোর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন ওই সব শিক্ষকেরা। গতকালের শুনানির পর কিছুটা যেন স্বস্তির হাওয়া পৌঁছল তাঁদের কাছে। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়, আর ২০১৩ সালে পরীক্ষায় বসেন প্রায় ৪৫ লক্ষ চাকুরিপ্রার্থী। সেখান থেকে চাকরি পান প্রায় ১৭ হাজার জন। কিন্তু সেই পরীক্ষায় সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্ন এসেছে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন একাধিক পরীক্ষার্থী। প্রথমে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে এই মামলার শুনানিতে সিলেবাসের বাইরে প্রশ্ন আসার বিষয়টিকে মান্যতা দেওয়া হলেও তার জন্য পরীক্ষা বাতিল করার মত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই জানানো হয়। ফলে, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান ওই সকল অসন্তুষ্ট পরীক্ষার্থী। সেই মামলারই শুনানি ছিল গতকাল বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। দুই বিচারপতিই শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্ন আসা অনিয়মের মধ্যে পরে, সুতরাং তা খতিয়ে দেখতে হবে। কিন্তু তার জন্য ২০১২ সালের টেটের নিয়োগ বেআইনি ঘোষণা করার মত কিছু হয় নি। আদালতের আরো বড় পর্যবেক্ষন, এই নিয়োগ বেআইনি ঘোষণা করলে, চাকরি পাওয়া প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। সুতরাং, মামলাকারীদের তার জন্য বিকল্প পথের ব্যবস্থার কথা বলতে হবে। যদি তা না হয়, তবে অনিয়ম যা হয়েছে তা বিশদে খুঁজে বের করা হলেও, চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের চাকরি হারানোর আতঙ্কে কিন্তু ভুগতে হবে না। তবে আজ, মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতকে বিকল্প পথের কথা জানানোর কথা এবং সেই সওয়ালের উপরেই চাকরি পাওয়া ১৭ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ আদতে নির্ভর করছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের খবর। আপনার মতামত জানান -