এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ঠাকুরবাড়ির অভিযোগ ঘিরে এবার চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

ঠাকুরবাড়ির অভিযোগ ঘিরে এবার চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এ রাজ্যে ঠাকুরবাড়ি এক চিরপরিচিত নাম। মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে ঠাকুরবাড়ি ধর্মীয় স্থান বলেই গণ্য। অন্যদিকে রাজনীতির জগতেও ঠাকুরবাড়ি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। একই বাড়িতে দুই ভিন্নমত পোষণকারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থাকায় যথারীতি ঠাকুরবাড়ি সবসময় সংবাদ শিরোণামে হাকে বলে মনে করা হয়। তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক লড়াই ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলেও শুরু হয়েছে। একদিকে ঠাকুরবাড়ির মমতাবালা ঠাকুর যিনি তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ হিসেবে পরিচিত অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর যিনি বিজেপির বর্তমান সাংসদ।

ঠাকুরবাড়ির এই দ্বিধাবিভক্তির কারণে ভক্তদের মধ্যেও যথেষ্ট টানাপোড়েন চলে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই সূত্রে এবার মুখ খুললেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি সুব্রত ঠাকুর। যিনি অবশ্য সম্পর্কে শান্তনু ঠাকুরের ভাই বলেি পরিচিত। মতুয়াদের ভক্তদের বিভক্তির কারণে বর্তমানে অস্বস্তিতে ঠাকুরবাড়ির মুখ্য হোতা। আর তাই এবার ভক্তদের একজোট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ঠাকুরবাড়ির পক্ষ থেকে। এ প্রসঙ্গে মতুয়া মহাসঙ্ঘের যুগ্ম সভাপতি সুব্রত ঠাকুর সম্প্রতি ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে একতার বার্তা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি সুব্রত ঠাকুর সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেন, মতুয়া মহাসঙ্ঘের মূল প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুর এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরকে নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ বা কারা কুৎসা রটাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করেন এদিন সুব্রত ঠাকুর ভক্তদের মধ্যে ভাঙন ধরানোর জন্যই এই কাজ কোন দুষ্ট চক্র চালাচ্ছে। এরপরেই সুব্রত ঠাকুর কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন যে কতটা প্রয়োজনীয় মতুয়াদের জন্য সে কথা বুঝিয়ে দেন এবং নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেন বলে জানা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এ দিন ভক্তদের কাছে সুব্রত ঠাকুর আবেদন করেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টাকে যেন কোনভাবেই ভক্তরা প্রশ্রয় না দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘আপনাদের অনুরোধ করছি, আপনারা গুজবে কান দেবেন না। এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াবেন না।’ অন্যদিকে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সুব্রত ঠাকুর জানিয়েছেন, যারা এই ধরনের ভাঙ্গনের রাজনীতি চালাচ্ছে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে, ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

তবে রাজনৈতিক মহলের সুব্রত ঠাকুরের পোস্ট নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, সুব্রত ঠাকুর কি ভাঙ্গনের রাজনীতির অভিযোগের ইঙ্গিত তৃণমূল শিবিরের দিকে তুলছেন? নাকি ঠাকুরবাড়ির অন্দরের কাউকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করতে চাইছেন সুব্রত ঠাকুর? সে ক্ষেত্রে অবশ্য মমতাবালা ঠাকুরের নাম সবার সামনে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত মতুয়া সংঘের ধারক বাহক হবার লড়াই যে স্পষ্ট সে কথাই প্রমাণিত। তবে সুব্রত ঠাকুর যেভাবে মতুয়া সংঘের ঐক্য বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য যখন রাজ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবির উঠেপড়ে লেগেছে সাংগঠনিক জোর বাড়াতে, ঠিক সে সময় ঠাকুরবাড়ির অন্যতম প্রধান সদস্য সুব্রত ঠাকুরের নাম না করে অভিযোগের ইঙ্গিত নিয়ে স্পষ্টতই জলঘোলা চলবে। অন্যদিকে বর্তমানে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর যেভাবে তৃণমূল শিবিরকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছেন তা কিন্তু যথেষ্ট লক্ষণীয়। আপাতত সুব্রত ঠাকুরের ঐক্যের বার্তা কতটা কাজ করবে মতুয়া ভক্তদের উপর, সে দিকেই এখন নজর রাখতে চলেছে সবাই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!