থামছে না বঙ্গভঙ্গের তরজা, হেভিওয়েট বিধায়কের মন্তব্যে জল্পনা! চাপে বিজেপি উত্তরবঙ্গ বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 29, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে জাতীয় উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলাকে নিয়ে পৃথক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা যায়, তার জন্য দাবি তুলতে দেখা গিয়েছে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলাকে। তবে হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ এই দাবি তোলার সাথে সাথেই এটা রাজ্য নেতৃত্বের মত নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তারপরেও দলের একাংশ বিজেপি সাংসদের এই দাবিকে সমর্থন করতে থাকেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। উত্তরবঙ্গের মত জঙ্গলমহলের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে সেখানকার জেলাগুলোকে নিয়ে পৃথক রাজ্য করা উচিত বলে মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য নেতৃত্বের অমত থাকা সত্ত্বেও, যেভাবে একের পর এক সাংসদ বাংলা ভাগের পক্ষে মতামত জানাচ্ছেন, তাতে যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় ভারতীয় জনতা পার্টি। পরবর্তীতে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিতে দেখা যায। কিন্তু রাজ্যভাগ নিয়ে এবার আরও চাপের মুখে পড়ে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে দিলীপ ঘোষের উত্তরবঙ্গ সফরের পরই কার্যত জন বারলার মতকে সমর্থন করে উত্তরবঙ্গ ভাগের পক্ষে মন্তব্য করতে দেখা গেল জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পুনা ভেংরাকে। যাকে কেন্দ্র করে আরও চাপের মুখে পড়ে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।সূত্রের খবর, এদিন উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবিকে সমর্থন করতে দেখা যায় নাগরাকাটা বিজেপি বিধায়কের। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। এত বছরেও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। শিক্ষা-স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সবেতেই পিছিয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির। এখানকার মানুষ এত বছর ধরে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই জন বারলা যে দাবি তুলেছেন, তা জনতার দাবি। আলাদা রাজ্য না হলে উত্তরবঙ্গের কোনো উন্নয়ন হবে না।” আর এখানেই প্রশ্ন, যেখানে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, তারা রাজ্যভাগের পক্ষে নয়, সেখানে বিজেপির বিধায়ক কেন রাজ্য সভাপতির বিপক্ষে গিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করলেন? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাহলে কি এই ঘটনার ফলে একের পর এক জনপ্রতিনিধিদের বেলাগাম মন্তব্য এবং রাজ্য ভাগে সহমত পোষন করার জেরে চাপে পড়ে যাচ্ছে না ভারতীয় জনতা পার্টি! ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন বিজেপির অন্দরমহলে উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, গোটা বিষয়কে হাতিয়ার করে বিজেপির এই ভঙ্গুরদশাকে সামনে এনে তৃণমূল কংগ্রেস গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বাংলা ভাগের অভিযোগ তুলে সরব হতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির এই দ্বিধা-বিভক্ত রূপ তৃনমূলেরর হাতে বাড়তি অক্সিজেন তুলে দেবে। বারবার রাজ্য ভাগের পক্ষে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে জন বারলা থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী পার্টি লাইনের মতামত দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, এটা বিজেপি পার্টির মতামত নয়। এক্ষেত্রে যারা মন্তব্য করেছেন, এটা তাদের নিজস্ব মতামত। আর এরপরেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়ার পর আর তেমনভাবে কেউ এই রাজ্যেভাগের পক্ষে মতামত দেবেন না। কিন্তু তারপরেও নাগরাকাটার বিজেপি বিধায়কের গলায় শোনা গেল উত্তরবঙ্গ ভাগের কথা। এই বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের মতামতকে মান্যতা দিতে চাইছেন না উত্তরবঙ্গের অনেক বিজেপি নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা, তা এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -