প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সিপিএম এবং কংগ্রেসের যৌথ কর্মীরা এদিন বেলঘড়িয়া পুলিশ স্টেশন ঘেরাও করে বিক্ষোভে নামেন বলে জানা গেছে। আর এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন কামারহাটির সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত,এদিন সকালে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের সামনে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ দেখে তৃণমূল নেতাকর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।

এমনকি তাদের উপর লাঠিচার্জ করে তৃণমূল কর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। কার্যত স্থানীয় বাসিন্দাদের এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের হাতাহাতির কারণে এলাকাজুড়ে এক রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে খবর। জানা গেছে এহেন অবস্থায় পুলিশ কোন রকম ভাবেই পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামেননি।

স্থানিয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বাকবিতন্ডা এতটাই উচ্চ পর্যায়ে চলে যায় যে তৃণমূল কর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। এর পরেই এদিন সন্ধ্যেবেলা সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা বেলঘড়িয়া থানা ঘেরাও করেন বলে সূত্রের খবর।

জানা গেছে দিন সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের দাবি অনুযায়ী, স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর যখন তৃণমূল কর্মীদের লাঠি চালানোর ঘটনাটি ঘটছিল সেই সময় পুলিশ সেখানে উপস্থিত থাকলেও পুলিশ নিশ্চুপ দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। আর এই কারণেই যথার্থ জবাবের আশায় তারা থানা ঘেরাও করার সিদ্ধান্ত নেন। সিপিএম কংগ্রেস নেতা কর্মীরা এদিন পথ অবরোধ করে প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের বান ছোড়ে।

জানা গেছে এবার এই বিক্ষোভ বন্ধ করতে রাস্তায় নামে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। বিক্ষোভ কর্মসূচি বন্ধ করতে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ কংগ্রেস এবং সিপিএম কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করা শুরু করে। এমনকি পুলিশের লাঠির আঘাতে কামারহাটির সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় জখম হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

এদিন মানস মুখোপাধ্যায় বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জানিয়েছেন,“পুলিশ ইচ্ছাকৃত লাঠি চার্জ করেছে। আমাকেও মেরেছে। আমরা পুলিশ কমিশনারকে বেলঘরিয়া থানার পুলিশের এই ঘটনার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাব।” মূলত সাগর দত্ত হাসপাতালের সামনে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের সময় পুলিশের কোনো ভূমিকা না থাকায় সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীরা।

এদিন তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান এবং প্রশাসনের অকর্মণ্যতার প্রশ্ন তুলে পথ অবরোধ করেন বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে এরপরই গোটা এলাকায় চরম বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিকে পুলিশের লাঠিচার্জের কারণে মানস মুখোপাধ্যায়ের আহত হওয়াকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট জল্পনা ঝড় উঠেছে। পুলিশের এহেন আচরণে সিপিএম নেতাকর্মীদের অনেকেই যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর।