প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল ত্রিপুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে। জোরে গাড়ি চালিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গতকাল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। প্রথমে তাকে রাখা হয়েছিল আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায়, পরবর্তীতে তাকে অন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল সকালে আগরতলা পূর্ব থানার চারদিক ঘিরে ফেলে হামলা করেছে বিজেপি। গ্রেপ্তারের পরও হামলা চলেছে। তৃণমূলের উপর বিজেপির বারবার হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।

গতকাল একটি টুইট করে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন যে, আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় ঢুকে এসে মারছে বিজেপি তৃণমূল কর্মীরা আহত। তাদের জীবন মরণ সমস্যা চলছে। পরবর্তীতে আর একটি টুইট করেছিলেন তিনি। যেখানে তিনি লিখেছিলেন যে, গতকাল সকালের মতো গতকাল রাতেও মারা হচ্ছে নেতাকর্মীদের। সকলের জীবন বিপন্ন। অবস্থা ভয়াবহ। থানায় ঢুকে মারা হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের।

এরপর আরও একটি টুইট করেছিলেন তিনি। যেখানে তিনি লিখেছিলেন যে, আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় চলছে বিজেপির তাণ্ডব। বাইরের সাহায্যের প্রয়োজন। পুলিশ, প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। তিনি লিখেছিলেন, সাংবাদিকেরাও রক্তাক্ত, আহত। অবস্থা দেখে পুলিশও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

গতকাল রাতে সায়নী ঘোষকে অন্য একটি থানায় স্থানান্তর করা হয়। এ প্রসঙ্গে কুনাল ঘোষ জানান, নিরাপত্তার কারণে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানা থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগরতলা পূর্ব থানায় জীবন-মরণ সমস্যা। বিজেপি ঘিরে রেখেছে। বাজি ফাটানো হচ্ছে। বোমা, গুলির আওয়াজ ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানেন না, তারা বাঁচবেন কিনা? থানায় ঢুকে যেভাবে হামলা চলছে, তা ভাবা যায় না।

অন্যদিকে, সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারী প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, পুলিশের দাবি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি চালিয়ে রাস্তার মানুষকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সায়নী ঘোষ। গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ মারার চেষ্টা করেছেন তিনি, এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলকে ভয় দেখাতেই এমনটা করা হয়েছে।