নিজের এমবিএর অভিজ্ঞতা দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সুরাহা-র জন্য নতুন পদক্ষেপের ভাবনায় শিক্ষামন্ত্রী কলকাতা রাজ্য December 8, 2018 এবার সিবিএসসি-র কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে মরিয়া রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। আর এই বদল আনার লক্ষ্যেই গতকাল বিকাশ ভবনে স্কুল এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক করেন তিনি। আলোচনা করতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, নিয়মিত ক্লাসগুলোতে উপস্থিত থাকার উপর জোর দেওয়ায় ব্যাপক হারে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে পারছে না। এই সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের একটি সেমিস্টার বাদ দিয়ে পরের সেমিস্টারগুলোতে পরীক্ষা দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে সামনে আসে বহু কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ভীড় বেড়ে যাওয়ার সমস্যার কথা। বিশেষ করে হেরম্বচন্দ্র, শিবনাথ শাস্ত্রীর মতো কলেজগুলো এক্ষেত্রে সামনে আসে। এধরনের বেশ কিছু কলেজে পড়ুয়াদের চাপ সামলাতে কর্তৃপক্ষের নাঝাহাল অবস্থা হবে। সেক্ষেত্রে আরো সমস্যা হবে। এই প্রেক্ষিতে তিনি বৈঠকে উপস্থিত আধিকারিকদের জানান, বিজোড় সেমিস্টারের বিষয়গুলির পরীক্ষা শুধুমাত্র পরের বিজোড় সেমিস্টারে দেওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী জোর সেমিস্টারে দেওয়ার সুযোগ থাকলে চাপ অনেক কমবে বলে কমে করছেন তিনি। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে নিজের এমবিএ পড়ার অভিজ্ঞতা থেকেই এমন যুক্তি সামনে রাখলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে ইউজিসি’র তৈরি করা নিয়মে রাজ্যের বিশেষ কিছু করার নেই বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল। শুধু উচ্চশিক্ষা নয়,পাশাপাশি স্কুলশিক্ষার বেশ কিছু বিষয় নিয়েও বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি আরও জানান, রাজ্যের স্কুলগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ বহু টাকা জেলা থেকে অব্যবহৃত হয়ে ফিরে আসছে কেন, তা আধিকারিকদের কাছে জানতে চান শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মীদের বিভিন্ন খাতে বকেয়া টাকাগুলোও মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। দপ্তরের অনুমোদন সত্ত্বেও জেলা স্কুল পরিদর্শকের শীর্ষ আধিকারিকরা গাড়ি পাচ্ছেন না কেন, তার কৈফিয়তও চান মন্ত্রী। বর্তমানে স্কুলস্তরের বিভিন্ন রিপোর্টে যেসব সমস্যার কথা উঠে এসেছে, সেগুলো কার্যত স্বীকার করে নিয়েই বৈঠকে পার্থবাবু জানান, বহু ডিআই বা এসআইয়ের কম্পিউটার ব্যবহারজনিত সমস্যা রয়েছে। সেগুলো অবিলম্বে কাটিয়ে ওঠার কড়া নিদান দেন তিনি। লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতেই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে রাজ্যবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞমহল। আপনার মতামত জানান -