কেটে গেল দীর্ঘ আট বছর – কেউ কথা রাখে নি! আজও বঞ্চিত মাওবাদীদের হাতে নিহত পরিবারগুলি! পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া বিশেষ খবর রাজ্য December 31, 2018 প্রতিশ্রুতি পেলেও দীর্ঘ আট বছর পর আজও বঞ্চিত মাওবাদীদের হাতে নিহত পরিবারগুলি l আতঙ্কে আজও ঘরছাড়া গ্রামের বহু পরিবার l আজ থেকে আট বছর আগে ২০১০ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাগবিন্ধা গ্রামের ফরওয়ার্ড ব্লকের একজন পঞ্চায়েত মহিলা প্রধান সহ ৬ জন নেতাকর্মীকে দিনে দুপুরে মাওবাদীরা গুলি করে হত্যা করেছিল। সেই ভয়ে ও আতঙ্কে সেইসময় কার্যত গোটা গ্রাম জনশূন্য হয়ে গিয়েছিল মাওবাদীদের হাতে খুন হওয়া নেতাকর্মীরা হলেন – চপলা গড়াই, টিঙ্কর সিংহ, গোবর্ধন সিংহ, গোপেশ্বর মাহাতো, তপন সিং সদ্দার (সকলেই গুটিলয়ার বাসিন্দা), অনন্ত মাহাতো (চিরুটাড়ের বাসিন্দা) ও অর্জুন সিং মুন্ডা (নওয়াগড়ের বাসিন্দা)। স্বাভাবিকভাবেই তৎকালীন সময়ে এই ঘটনায় খবরের শিরোনামে উঠে আসে এই বাগবিন্ধা গ্রাম – তোলপাড় হয়ে যায় কেন্দ্র থেকে রাজ্য রাজনীতি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ছুটে আসেন প্রায় সব রাজনৈতিক দলেরই বহু নেতাকর্মী থেকে শুরু করে স্বয়ং রাজ্যপাল পর্যন্ত l মৃতদের পরিবারকে দেওয়া হয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু, বাম জমানা শেষ হয়ে তৃণমূল সরকারের দ্বিতীয় দফায় সরকার জারি রয়েছে – পেরিয়ে গেছে মূল্যবান আট-আটটি বছর! মানুষ ধীরে ধীরে ভুলে গেছে সেই মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনা। কিন্তু ঘটনায় মৃতদের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আজও মিলল না! সেই আতঙ্কে আজও গ্রামছাড়া বহু মানুষ – অচলা সিংহ, শম্ভুনাথ সিংহ, ভূতনাথ সিংহ, কালাচাঁদ সিংহ, জগবন্ধু সিংহ সহ আরও ৩০ টি পরিবার আজও এই গ্রামে আর পা দেননি আতঙ্কে। আশ্চর্যরকমভাবে, তাঁদের ঘরে ফেরানোরও কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন বলে অভিযোগ। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের হতাশা বুকে চেপে জীবনের সর্বস্ব খোয়ানো মানুষগুলো যেন আজ শোকে পাথর! মাওবাদীদের গুলিতে নিহত টিঙ্কর সিংহের মা সুকুন্তলা সিংহ, চপলা গড়াইয়ের পুত্র প্রথম গড়াই, অনন্ত সিং মুন্ডার পুত্র বিশ্বনাথ সিং মুন্ডা ও নিহত অনন্ত মাহাতোর নাতি বিকাশ মাহাতো জানান, “গুলিকাণ্ডের ঘটনার পর ভেঙে গিয়েছিল পুরো পরিবার l কিন্তু ঘটনার আট বছর পেরিয়ে গেলেও মেলেনি কিছুই l আজ কোনো রাজনৈতিক নেতা বা কোনো সরকারি আধিকারিক আমাদের পাশে নেই” l আতঙ্কে বেশি কিছু বলতে চান না সব হারানো মানুষগুলো – কিন্তু, চোখের পলক থেকে আজও সেই মর্মান্তিক মৃত্যু কান্ড মুছে যায় নি এঁদের। আপনার মতামত জানান -