এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘পাখির চোখ’ করা বাংলা নিয়ে আজ দিল্লিতে মেগা বৈঠকে অমিত শাহ, বড় ‘পরিবর্তনের’ আশায় গেরুয়া শিবির

‘পাখির চোখ’ করা বাংলা নিয়ে আজ দিল্লিতে মেগা বৈঠকে অমিত শাহ, বড় ‘পরিবর্তনের’ আশায় গেরুয়া শিবির


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকে মোটামুটি ‘পাখির চোখ’ করে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি। বাংলা থেকে বিজেপির অন্তত ২২ টি আসন জেতার দাবি যে কথার কথা নয় – তা প্রমানে এবার বাংলার উপর বিশেষ নজর দিতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে সূত্রের খবর। গত দুদিন ধরে দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিজেপির জাতীয় কাউন্সিলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের কথায় বারবার উঠে এসেছে বাংলার প্রসঙ্গ।

এছাড়াও, সেই সম্মেলনে মঞ্চে বক্তা হিসাবে ডেকে নেওয়া হয় মুকুল রায়কে। মুকুলবাবুও মঞ্চ থেকে বাংলার ‘অগণতান্ত্রিক পরিবেশ’ নিয়ে রীতিমত সোচ্চার হন এবং স্পষ্ট জানিয়ে দেন রাজ্যের মানুষ রাজ্য থেকে নাকি তৃণমূল কংগ্রেসকে হঠাতে মুখিয়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে সম্মেলন শেষ হতেই – স্বয়ং অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় নেতা রাম লাল রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনের বিস্তারকদের সঙ্গে একান্তে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে, কোন আসনের কি সাংগঠনিক অবস্থা রয়েছে তা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জেনে নেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর রাতের দিকে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অমিত শাহ। সেই বৈঠকে রাজ্য নেতাদের এই ৪২ টি আসন নিয়ে কি মতামত তা জানতে চান তিনি। সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্বের কিছু নেতার কাছে ওই বৈঠক খুব একটা সুখকর হয় নি। অমিত শাহের নিজস্ব টীম ও বিস্তারকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে বেশ কিছু অপ্রিয় প্রশ্নের সামনে পড়তে হয় তাঁদের। এমনকি বেশ কিছু জেলা সভাপতির নামেও যে রিপোর্ট পৌঁছেছে দিল্লিতে তা নিয়েও আলোচনা হয়। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরেই বিজেপির বেশ কিছু সাংগঠনিক জেলায় জেলা সভাপতিদের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলীয় কর্মীরাই।

গতকাল প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত সেই বৈঠক চলার পর – আজ আবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন অমিত শাহ বলে সূত্রের খবর। সেই বৈঠকে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের যাঁদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাঁদের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হতে পারে বলেও জানা গেছে। আর উত্তর সন্তোষজনক না হলে – হয়ত বা কড়া পদক্ষেপ নিতেও পিছপা হবেন না অমিত শাহ বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। আর তাই বাংলা নিয়ে ‘প্রচন্ড সিরিয়াস’ অমিত শাহ বড়সড় কোনো সাংগঠনিক পরিবর্তন ঘোষণা করতে পারেন এই বৈঠকের পরেই বলে জল্পনা বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!