এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ডেঙ্গুর আতঙ্কে শুধুশুধু না ভুগে, সাবধানতা হিসাবে এই সাধারণ জিনিসগুলি রাখুন খাদ্যতালিকায়

ডেঙ্গুর আতঙ্কে শুধুশুধু না ভুগে, সাবধানতা হিসাবে এই সাধারণ জিনিসগুলি রাখুন খাদ্যতালিকায়


ডেঙ্গু নাম শুনলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মনে। মশার কামড়ে এভাবে যে মৃত্যু ঘটতে পারে তা নিয়ে কোনো ধারণাই ছিল না কয়েক দশক আগে। বছর খানেক ধরেই ডেঙ্গু আতঙ্ক মাত্রাছাড়া আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গু মশার কামড়ে প্রতিদিন প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। ডেঙ্গুর লক্ষণ প্রকাশিত হলেও অনেকেই তা বুঝতে পারছেনা এবং রোগ বুঝতে বুঝতে মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। ডেঙ্গু আটকাতে প্রশাসনের তরফে বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গুর কোন প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি। তাই ডেঙ্গুর আতঙ্কে না ভুগে বরং সাবধানতা অবলম্বন করতে খাদ্যতালিকায় সংশোধন করা অত্যন্ত জরুরি।

এখনো পর্যন্ত শীতের আবহাওয়া পড়েনি। আবহাওয়া বদলের সময় তাই কখনো তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে আবার কখনও কমে যাচ্ছে। আর এই সময় ঘরে ঘরে শুরু হয় জ্বরের প্রকোপ। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুরু হয় ডেঙ্গুর আক্রমণ। জ্বর নিয়ে ইতিমধ্যে চিকিৎসকদের কাছেই লম্বা লাইন পড়ে এই সময়ে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু নিয়ে অযথা ভয় না পেয়ে সঠিক ওষুধপত্র এবং খাওয়া-দাওয়া করলে একজন ডেঙ্গু রোগী সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। ডেঙ্গু রোগীদের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে কিছু ধারণা দেবার জন্য রইল সামান্য তথ্য।

ডেঙ্গু রোগীর প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ মাত্রাতিরিক্ত হারে প্লেটলেট কমে যাওয়া। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগী দুর্বল হতে থাকে এবং সে কারণেই ডেঙ্গু রোগীকে সব সময় পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ানো উচিত এই প্রসঙ্গে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে যদি দু-তিনটি পেঁপে পাতার রস খাওয়া যায়, তাহলে ডেঙ্গু রোগীরা খুব কম দিনেই সেরে উঠতে পারবেন। পেঁপে পাতার রস খাওয়ার ফলে মুখের রুচি যেমন ফিরবে, তেমনই ডেঙ্গু প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ডেঙ্গু হলে ব্লাড প্রেসার সব সময় নিচের দিকে থাকে। তাই রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখার জন্য রোগীকে নিয়মিত দুধ খাওয়াতে হবে। তবে এই সময় ছাগলের দুধ খাওয়ালে কম সময়ে উপকার অনেক বেশি হবে। ডেঙ্গুর ভাইরাস তাড়াতে ডাক্তার সবসময় পরামর্শ দেন অনেক বেশি জল খাওয়ার জন্য। তবে অনবরত জল খেলে রোগী বমি করতে পারে, তাই ভয় খাওয়ার তবে তাতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। জল যদি রোগী সব সময় না খেতে পারে, তাহলে ডাবের জল বা লেবুর জল দেওয়া যেতে পারে অথবা লস্যি বানিয়ে রোগীকে দেওয়া যেতে পারে।

ডেঙ্গু রোগীদের প্লেটলেট অতিরিক্ত হারে কমে যায়। সেই প্লেটলেটকে আবার বানানোর জন্য রোগীকে সবুজ শাকসবজি এবং বাদাম খাওয়ানো যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এই সময় শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটানোর জন্য রোগীকে বেশি করে পেয়ারা, আমলকি, কাজু বাদাম, আখরোট, কিসমিস খাওয়াতে হবে। শরীরে ভিটামিন ডি এবং কের অনুপাত ঠিক রাখার জন্য রোগীকে ডিমের কুসুম খাওয়াতে হবে। শীতের শুরুতে যে জ্বর হয় অনেকেই তাকে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে হওয়া জ্বর বলে অবহেলা করেন যা অত্যন্ত মারাত্মক আকার ধারণ করে পরবর্তীতে। কারণ ডেঙ্গু ততক্ষণে শরীরের যা ক্ষতি করার করে দেয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, গা- হাত- পা এবং মাথা যন্ত্রণা, সর্দি কাশি হলে সত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করে ওষুধ পত্র খেতে হবে।

গত কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে রাজ্যে। ডেঙ্গু নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রচার চালানো হচ্ছে। এমনকি রাস্তার হোর্ডিংয়েও ডেঙ্গু সংক্রান্ত নির্দেশাবলী দেওয়া হচ্ছে। তবে সবথেকে প্রয়োজন সাধারণ মানুষের সচেতনতা বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের একাংশ। ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশীরভাগেরই লক্ষণ সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশির মতন হয়ে থাকে। ভাইরাল ফিভার হলে অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা করে চলেন। কিন্তু ততদিনে যা ক্ষতি হবার হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে হসপিটাল, নার্সিংহোম কেউই কিছু করতে পারে না। বারংবার তা প্রমাণিত হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত‍্যুতে। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত মানেই যে সে মৃত্যুর মুখোমুখি হবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। বরং সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে মৃত্যু আটকানো যাবে বলে দাবি করা হয়েছে চিকিৎসক মহল থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!